বাঁধাকপির সিম্বা।
বাঁধাকপির সিম্বা
উপকরণ: বাঁধাকপি কুচি ২ কাপ, নারকেল কোরা ১ কাপ, রসুন ৪-৫ কোয়া, পেয়াঁজ ২টি, টম্যাটো ১টি, কাঁচা লঙ্কা ২-৩টি, শুকনো লঙ্কা ২টি, হলুদ ও নুন পরিমাণ মতো, কারি পাতা ও ধনে পাতা অল্প, বিউলির ডাল ১ চা চামচ, ছোলার ডাল ১ চা চামচ, গোটা কালো সরষে অল্প, সাদা তেল ও সরষের তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালী: প্রথমে বাঁধাকপি অল্প ভাপিয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এ বার কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ এবং টম্যাটো কুচি আলাদা করে ভেজে নিতে হবে। নারকেলের চাটনির জন্য কড়াইয়ে অল্প সাদা তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা, গোটা কালো সরষে, অল্প বিউলির ডাল এবং ছোলার ডাল আর কারি পাতা দিয়ে অল্প নেড়ে নিয়ে তারপর নারকেল কোরা দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। নামিয়ে নিয়ে মিশ্রণ ঠান্ডা হলে মিক্সারে ২-৩টি রসুন এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিলেই চাটনি তৈরি। এ বার ভাপনো বাঁধাকপি অল্প হলুদ দিয়ে মিক্সিতে বেটে নিন। সবশেষে ওই চাটনির সঙ্গে বাঁধাকপি বাটা, ভেজে রাখা পেয়াঁজ ও টম্যাটো, শুকনো লঙ্কা, স্বাদমতো নুন এবং অল্প সরষের তেল দিয়ে পুরোটা মেখে নিয়ে উপর থেকে ধনেপাতা কুচি দিলেই বাঁধাকপির ভর্তা তৈরি। সিম্বা বানাতে মিশ্রণগুলি আলাদা ভাবে ব্যবহার করেছি। কপির মিশ্রণ দিয়ে সিম্বার শরীর, চাটনি দিয়ে বর্ডার, চোখ ইত্যাদি তৈরি করেছি। চাটনি দিয়ে সিম্বা এঁকে নিয়ে, পরে ভিতরটা ভরাট করতে পারেন বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে।
মিক্সড নুডলসে মোগলি।
মিক্সড নুডলসে মোগলি
উপকরণ: নুডলসের জন্য: রাইস নুডলস ১০০ গ্রাম, সাদা তেল বা অলিভ অয়েল, হলুদ-লাল-সবুজ বেল পেপার অর্ধেক, মাঝারি পেঁয়াজ ১টি, বাঁধাকপি কুচি অল্প, গাজর অর্ধেক, পেয়াঁজ-পাতা অল্প, টম্যাটো ১টি, রসুন কুচি ১ চা চামচ, রাঙা আলু ১টি, শুকনো লঙ্কা কয়েকটি, চিলি ফ্লেক্স ১ চা চামচ, রোস্টেড বাদাম গুঁড়ো ১ চা চামচ, নুন স্বাদ মতো, ধনেপাতা কুচি পরিমাণ মতো। সসের জন্য: তেঁতুলের ক্বাথ ১ চামচ, সয়া সস ২ চা চামচ, টম্যাটো কেচাপ ৩ চা চামচ, ফিশ সস ১ চা চামচ, সাদা ভিনিগার ২ চা চামচ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো অল্প, রেড চিলি সস ১ চা চামচ, ব্রাউন সুগার ১ চা চামচ, নুন অল্প।
প্রণালী: প্রথমে নুডলস সিদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে আর কয়েকটা শুকনো লঙ্কা ভেজে নিতে হবে। কড়াইয়ে আবার তেল দিয়ে রসুন কুচি দিয়ে অল্প নেড়ে নিয়ে জুলিয়ান শেপে কেটে রাখা সব আনাজ হালকা ভেজে নিয়ে অল্প নুন দিতে হবে। অল্প নেড়ে সিদ্ধ করে রাখা নুডলস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। উপর থেকে বাদামগুঁড়ো, পেয়াঁজ পাতা কুচি, ধনে পাতা, ভাজা পেয়াঁজ আর চিলি ফ্লেক্স দিতে হবে, অল্প থাই সিজ়নিং মেশাতে পারেন।
মোগলি বানানোর জন্য কিছুটা রাঙা আলু সিদ্ধ, লাল ও সবুজ বেল পেপার, কিছুটা সসের মিশ্রণ এবং বীজ বাদ দেওয়া ভেজে রাখা শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করা হয়েছে।
পনির স্যালাডে বাঁটুল।
পনির স্যালাডে বাঁটুল
উপকরণ: পনির ১ কাপ, লাল, হলুদ ও সবুজ বেল পেপার, গাজর, ফুলকপি, রাঙা আলু, পেয়াঁজ পাতা, শুকনো লঙ্কা (বীজ বাদ দেওয়া), আচারের সবুজ লঙ্কা, সাদা তেল বা অলিভ অয়েল পরিমাণ মতো, নুন স্বাদ মতো, মিক্সড হার্বস অল্প।
প্রণালী: প্রথমে কড়াইয়ে অল্প সাদা তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে সব আনাজ ও নুন দিয়ে ঢাকা দিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে পনির মিশিয়ে একটু নেড়ে নিন। আরও ২-৩ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। সবশেষে মিক্সড হার্বস, শুকনো লঙ্কা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে উপর থেকে বেশ কিছুটা পেয়াঁজপাতা কুচি করে ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
বাঁটুলের জন্য গ্রিলড আনাজপাতি এবং পনিরের সঙ্গে রাঙা আলু মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্ডারের জন্য রাঙা আলুর সঙ্গে সয়া সস মিশিয়ে নিতে পারেন।
কেশরভোগে মীরাবাই।
কেশরভোগে মীরাবাই
উপকরণ: আলু ২টি, বিট ২টি, গাজর ১টি, ধনেপাতা ১ কাপ, পুদিনা পাতা আধ কাপ, আদা ১ ইঞ্চি, টক দই ২ চা চামচ, পাতিলেবু অর্ধেক, টম্যাটো ১ টুকরো, সয়া সস অল্প, জাফরান, ভাত ১ কাপ, বিট নুন।
প্রণালী: ধনেপাতার চাটনির জন্য যতটা ধনেপাতা তার অর্ধেক পুদিনা পাতা নিয়ে তাতে কাঁচা লঙ্কা, অল্প আদা, টক দই, পাতিলেবুর রস, স্বাদ অনুসারে বিট নুন দিয়ে মিক্সারে পেস্ট বানিয়ে নিলেই চাটনি তৈরি। মীরাবাইয়ের অবয়বের জন্য বাকি সব আনাজ আলাদা ভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্রের জন্য ধনেপাতার চাটনি, বিট সিদ্ধ এবং আলু সিদ্ধর সঙ্গে বিটের রস মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। মীরাবাইয়ের পোশাকে দুধে ভিজিয়ে রাখা জাফরান দিয়ে, ঘিয়ে গোটা গরমমশলা দিয়ে কেশর ভোগ তৈরি করে ব্যবহার করা হয়েছে। ভাত রান্নার সময়ে গাজরের রসও ব্যবহার করা হয়েছে। টম্যাটো ঠোঁটের আকারে কেটে নিয়ে ব্যবহার করুন।
রকমারি ভর্তায় গুপি বাঘা।
রকমারি ভর্তায় গুপি-বাঘা
উপকরণ: সরষের তেল, শুকনো লঙ্কা ৪-৫টি, কাঁচা লঙ্কা ৩-৪টি, কালো জিরে অল্প, নুন স্বাদ মতো, পেঁয়াজ ৪টি, আলু ২টি, কুমড়ো ১০০ গ্রাম, শিম ৪টি, বিট ২টি, গাজর ১টি, সয়া সস পরিমাণ মতো, ভাত ১ কাপ।
প্রণালী: প্রথমে কুমড়ো, আলু, বিট, গাজর এবং শিম সিদ্ধ করে নিতে হবে। হাত দিয়ে চটকে বা মিক্সিতে আলাদা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। শিমের শিরাগুলো বাদ দিতে হবে। এ বার কড়াইয়ে ২-৩ চামচ সরষের তেল দিয়ে একে একে ৪-৫ টা শুকনো লঙ্কা (একটু বেশি বাদামি করে), ২-৩ টি কাঁচা লঙ্কা (অল্প ভেজে), পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে রাখতে হবে। কুমড়ো ভর্তার জন্য কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ তেলে কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে সিদ্ধ করা কুমড়োটা একটু নেড়ে নিতে হবে। সব রকম ভর্তার জন্যই একটা পাত্রে স্বাদ মতো নুন নিয়ে, ভাজা পেঁয়াজ, ও শুকনো লঙ্কা (শিম ভর্তার ক্ষেত্রে কাঁচা লঙ্কা) মেখে নিয়ে সেই সিদ্ধ আনাজ মেখে নিতে হবে। গুপি-বাঘার চুল এবং বর্ডারের জন্য আলু সিদ্ধর সঙ্গে সয়া সস মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে আলাদা করে শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করা হয়েছে। গুপির জামা করার জন্য নেওয়া হয়েছে কুমড়ো ভর্তা ও বাঘার জামা হয়েছে শিম ভর্তা দিয়ে। তার পরে ডিজ়াইনের সময়ে মশলাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন পদ রান্নার আগেই এ ভাবে পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। তা হলে ফুডআর্ট করে সেই পদ পরিবেশন করতে পারবেন।
ছবি: সায়ন্তন ভট্টাচার্য