refrigerator

এই নিয়মে যত্ন নিন রেফ্রিজারেটরের, সুস্থ থাকবেন আপনিও

আমাদের মনেই থাকে না, খাবারের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ফ্রিজকেও ভাল রাখতে হবে। ফ্রিজের যত্ন না নিলে এর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ও স্বাদ, দুই-ই নষ্ট হতে বাধ্য। কিছু টিপস মনে রাখলেই আপনার রেফ্রিজারেটর ভাল থাকবে দীর্ঘদিন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১২:৩৪
Share:

রেফ্রিজারেটরের নিয়মিত যত্ন নিন। (ছবি: শাটারস্টক)

আজকের দিনে রেফ্রিজারেটর ছাড়া জীবন ভাবাই যায় না। গ্রীষ্ম হোক বা শীতকাল, ফ্রিজ না থাকলে আমাদের চোখে সর্ষেফুল! কিন্তু আমাদের মনেই থাকে না, খাবারের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ফ্রিজকেও ভাল রাখতে হবে। ফ্রিজের যত্ন না নিলে এর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ও স্বাদ, দুই-ই নষ্ট হতে বাধ্য। কিছু টিপস মনে রাখলেই আপনার রেফ্রিজারেটর ভাল থাকবে দীর্ঘদিন।

Advertisement

বজায় রাখুন সঠিক তাপমাত্রা

ফ্রিজের ভিতরে তাপমাত্রা ঠিকঠাক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রেগুলেটর সেট করে তাপমাত্রা রাখুন ৩৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এর ফলে খাদ্যগুণ নষ্ট হবে না। অনেক দিন তাজা থাকবে কাঁচা বাজার থেকে রান্না করা খাবার।

Advertisement

দরজা ঠিকমতো বন্ধ করুন

এই সমস্যাটা খুবই সাধারণ। আমরা ফ্রিজ থেকে কিছু বার করার বা ফ্রিজে কিছু রাখার পরে এর দরজা কেবলমাত্র ছেলে দিই। অনেকেই শেষ অবধি খেয়াল করি না দরজাটা ঠিকমতো বন্ধ হল কি না। আবার যখন ফ্রিজ খোলার দরকার হয়, তখন দেখতে পাই আগের বার দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এর ফলে ফ্রিজ এবং এর ভিতরে রাখা জিনিস, দু’টিরই মারাত্মক ক্ষতি হয়।

প্রতি বার ব্যবহারের পরে ফ্রিজের দরজা ভাল করে বন্ধ করুন। (ছবি: শাটারস্টক)

অনেক সময় গ্যাসকেটের সমস্যার জন্যেও এটা হয়। ফ্রিজের দরজায় যে রাবারের ফ্রেমের আস্তরণ থাকে, তাকে বলা হয় গ্যাসকেট। এটাই ফ্রিজের দরজাকে নিশ্ছিদ্র ভাবে বন্ধ থাকতে সাহায্য করে। দেখবেন, যেন এটা কোনও ভাবেই ফ্রিজের দরজা থেকে আলগা না হয়ে যায়। বছরে অন্তত দু’বার জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার করুন গ্যাসকেট। দেখবেন, এর সঙ্গে যেন খাবারের টুকরো আটকে না থাকে। দরকার হলে পেশাদারদের ডেকে গ্যাসকেট পরিষ্কার করিয়ে নিন।

নিয়মিত পরিষ্কার করুন

ফ্রস্ট এবং ধূলিকণার জন্য ফ্রিজের স্বাস্থ্যহানি হয়। তাই নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন ফ্রিজের অন্দরমহল। ফ্রিজ পুরো খালি করে ভিনিগার মেশানো জল দিয়ে ভাল করে মুছে নিন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে খাবার রাখবেন না। প্রথমে ডিফ্রস্ট, তারপর পুরোপুরি শুকিয়ে নিয়ে ফ্রিজ আবার ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুন: ব্যবহার করা চা পাতা ফেলে দেন? এ সব জানলে ওই ভুল আর করবেন না

ভিতরের মতো যত্ন দরকার বাইরেও। বছরে অন্তত একবার ফ্রিজের পিছনে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিতে জমে থাকা ধুলো এবং ঝুল পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেবেন। তারপর ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করুন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। দরকার হলে আগে ফ্রিজের ম্যানুয়ালের নির্দেশিকা পড়ে নিন। তারপর শুরু করুন সাফাই অভিযান।

রান্না করা খাবার মুখঢাকা পাত্রে রাখুন। ছবি: শাটারস্টক

ফাঁকা ফ্রিজ বর্জনীয়

রেফ্রিজারেটর বেশি ফাঁকা রাখবেন না। কারণ এর ফলে যখনই আপনি এর দরজা খুলবেন, বাইরের গরম বাতাস বেশি করে ভিতরে প্রবেশ করবে। ফলে ফ্রিজের কর্মদক্ষতা কমে যাবে। তাই দীর্ঘদিন একে সুস্থ রাখতে ভিতরে বেশি করে জিনিস রাখুন। আর রান্না করা খাবার সবসময় মুখঢাকা পাত্রে রাখুন। তারপরেও যদি ফ্রিজে কটু গন্ধ ছড়ায়, একটি খোলা পাত্রে রেখে দিন কয়েক টুকরো পাতিলেবু। দুর্গন্ধ দূর হবে।

এই টিপসগুলো মনে রাখুন। ফ্রিজের যত্ন নিন। তা হলে সেই যন্ত্রও দীর্ঘদিন ধরে আপনাকে সুস্থ রাখবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement