একটা বাড়ির হেঁশেলে কাজ চলে প্রায় সারা দিন। আর রান্নার কাজে তেলমশলা তো ছিটবেই। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে হাতের কাছে রাখতে পারেন কিচেন পেপার রোল। এই ধরনের কাগজের রোল রান্নাঘরে অনেক কাজেই ব্যবহার করতে পারেন। তার আগে জেনে নিন কত ভাবে তা ব্যবহার করা যায়।
কী কী করা যায়
• ফোড়ন দিতে গেলে বা মাছ ভাজার সময়ে কিছুটা তেল চারপাশে ছিটকে যায়। তা মোছার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আবার তেল ঢালার সময়ে পড়ে গেলেও প্রথমে পেপারে তা মুছে নিলে পরিষ্কার করাও অনেক সুবিধেজনক হয়।
• চিমনির বাইরের দিকের তেলকালি চট করে তুলে ফেলতেও খুব উপকারী।
• অন্য দিকে ভাজাভুজি পরিবেশন করার আগে এই কাগজের কিছুটা ছিড়ে তার উপরে রাখতে পারেন। এতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে কাগজ। টিসুর কাজ হয়ে যাবে।
• অতিথি এলে খাওয়াদাওয়ার পরে হাত মোছার জন্যও কাজে লাগে।
রকমফের
কিচেন রোলও কিন্তু অনেক ধরনের হয়। পরিবেশবান্ধব পেপার রোল কিনতে পাওয়া যায়, যা ব্যবহারের পরে কম্পোস্ট করতে পারবেন। অন্য দিকে রিসাইকলড কাগজ দিয়ে তৈরি রোলও কিনতে পারেন। সাদা রংয়ের প্লেন কিচেন রোল যেমন কিনতে পাওয়া যায়, তেমনই ডয়েলি পেপারের মতো কাজ করা পেপার রোল কিনতে পারেন। আবার রঙিন বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টেড রোলও রাখতে পারেন রান্নাঘরে। সেগুলির উপরে লুচি, পরোটা বা পকোড়ার মতো খাবার রেখেও পরিবেশন করা যায়। কিচেন রোল কোন ধরনের কাজে ব্যবহার করতে চান, সেই অনুযায়ী কিনুন।
রোল স্ট্যান্ড
কিচেন রোল ব্যবহার করলে তা রাখারও উপযুক্ত ব্যবস্থা দরকার। কাঠের, ধাতব... বিভিন্ন রকমের রোল স্ট্যান্ড কিনতে পাওয়া যায়। কাঠের রোল স্ট্যান্ড রাখলে হ্যাঙ্গিং করার ব্যবস্থা রাখুন। হেঁশেলের কাজে বেশি জল লাগলে তা নষ্ট হতে পারে। অন্য দিকে মেটালের অ্যানিমাল শেপড বা থিমড রোল স্ট্যান্ড কিনলে তা ডাইনিং টেবলের উপরেও রাখতে পারেন। বাড়িতে অতিথিরা এলে খাওয়াদাওয়ার পরে সেখান থেকেই পেপার ছিঁড়ে হাত মোছার জন্যও ব্যবহার করতে পারবেন। রোল স্ট্যান্ড বাড়িতে বানিয়েও নেওয়া যায়। মোটা দড়ি বা পুরনো ওড়না পেঁচিয়ে দু’দিকটা বেঁধে হুকের সঙ্গে আটকে তার মধ্যেও কিচেন রোল রাখতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন, কিচেন রোল ব্যবহার করলেও তা ডিসপোজ় করবেন ঠিক ভাবে। বাথরুমে বা কিচেনের সিঙ্কে দলা করে ফেলবেন না। বা বাড়িতেও এমন জায়গায় ফেলবেন না, যাতে জলনিকাশির পথে বাধা সৃষ্টি হয়।