বড়দিন মানেই সারপ্রাইজ গিফট।
বছর শেষের ডিসেম্বর যেন উৎসবের মাস। ডিসেম্বর মানেই জন্মদিন,পার্টি, বিয়েবাড়ি, কত কিছু! বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কিন্তু উপহার মাস্ট। গিফট পেতে কার না ভাল লাগে! উপহার আর সম্পর্কের এই উষ্ণতায় জমে ওঠে সেলিব্রেশন। আনন্দের মুহূর্ত সেলিব্রেট করতে উপহারের জুড়ি মেলা ভার। আর বাড়ির সদস্যদের সারপ্রাইজ দিতে চাইলে উপহার ছাড়া গতি নেই। খ্রিস্টমাস মানেই আমরা জানি সান্তার ঝুলি থেকে কিছু না কিছু উপহার ঠিক বেরোবেই। ছোট থেকে বড়, সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে সেই উপহারের জন্য। ছোটদের জন্য কেক, চকোলেট, খেলনা তো সান্তার ঝুলিতে থাকবেই আর বড়দের জন্যও সিক্রেট সান্তা কিন্তু পছন্দসই উপহার নিয়ে আসে। যদি আপনিই হয়ে থাকেন সেই সিক্রেট সান্তা তা হলে পছন্দের মানুষদের কী উপহার দেবেন— রইল শেষ মুহূর্তের চেক লিস্ট।
উপহার হিসেবে বইয়ের জুড়ি মেলা ভার। যদি সেই ব্যক্তি বইপ্রেমী হন তা হলে অবশ্যই বই উপহার দিন। আর যদি তাঁর মনের গোপন ইচ্ছা প্রকাশের মাধ্যম হয় কলম তা হলে সঙ্গে থাকুক হ্যান্ডমেড ডায়েরি।
সাজতে ভালবাসে না বা গয়না পছন্দ নয়, এ রকম মেয়েদের সংখ্যা কিন্তু খুব কম। তাই যাঁকে উপহার দেবেন, তিনি যদি মেয়ে হন তা হলে চোখ বন্ধ করে দিয়ে ফেলুন হ্যান্ডমেড জুয়েলারি। দেখতে ভাল, যে কোনও রকম রকম পোশাকের সঙ্গে দিব্য মানানসই এবং দাম একেবারেই পকেটের নাগালে। গড়িয়াহাট টু এসপ্ল্যানেড কিংবা অনলাইনে খোঁজ করলেই মিলবে গয়নার হরেক সম্ভার।
নিজে ভাল আঁকতে পারেন? তা হলে নিজের হাতেই বানিয়ে ফেলুন গিফট। টি শার্ট হোক কিংবা কার্ড। কিংবা কাচের বোতলে রং করে বানিয়ে ফেলুন মন ভরানো গিফট।
খ্রিস্টমাস। তাই কেক কিন্তু মাস্ট। বাড়িতেই বেক করে ফেলুন। হাজার হোক বাড়ির তৈরি কেকের স্বাদই আলাদা। আর যাঁকে উপহার দেবেন তিনি যে কতটা খুশি হবেন তা আর না-ই বা বললাম।
উপহার হিসেবে চকোলেট অল টাইম হিট। তাই নিজে বানান বা কিনে প্রিয়জনকে উপহার দিন চকোলেট।
মিষ্টি ছাড়া সেলিব্রেশন ঠিক জমে না। তাই আর দেরি নয়। চটপট উপহার ভরে ফেলুন সান্তার ঝুলিতে।
ছবি সৌজন্য: রং রোজ।
কেকের ছবি: স্বাতীজ কিচেন।