হাসপাতালে যন্ত্র কেনায় অনিয়ম, নালিশ তৃণমূলের

ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে টেন্ডারের শর্ত লঙ্ঘন করে একটি ইউএসজি মেশিন কেনার অভিযোগে সরব হল তৃণমূল। শনিবার ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায়ের নেতৃত্বে হাসপাতালের সুপারকে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ-এর টেণ্ডারক্রমে মেদিনীপুরের একটি সংস্থা ওই ইউএসজি মেশিনটি (কালার ডপলার) সরবরাহ করার বরাত পায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৮
Share:

ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে টেন্ডারের শর্ত লঙ্ঘন করে একটি ইউএসজি মেশিন কেনার অভিযোগে সরব হল তৃণমূল। শনিবার ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায়ের নেতৃত্বে হাসপাতালের সুপারকে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ-এর টেণ্ডারক্রমে মেদিনীপুরের একটি সংস্থা ওই ইউএসজি মেশিনটি (কালার ডপলার) সরবরাহ করার বরাত পায়। গত বছর নভেম্বরে হাসপাতালে ওই ইউএসজি মেশিনটি বসানোর পরে মেশিনটির ব্যবহারও শুরু হয়ে যায়। গত জানুয়ারিতে শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্তবাবু স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেন যে, টেন্ডারে ১৭ ইঞ্চি মনিটর-সহ ইউএসজি মেশিনের কথা বলা থাকলেও, যে ইউএসজি মেশিনটি সরবরাহ করা হয়েছে, সেটির মনিটর ১৫ ইঞ্চির। মেশিনের দামেরও হেরফের রয়েছে। প্রশান্তবাবুর এই অভিযোগের ফলে, মেশিন সরবরাহকারী সংস্থাটির বিল আটকে দেওয়া হয়। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ এক চিঠিতে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের সুপারকে মেশিন সরবরাহকারী সংস্থাটির আটকে থাকা বিল ছেড়ে দিতে বলেছেন। এরপরই এ দিন ফের প্রশাম্তবাবুর নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন হাসপাতাল সুপারকে স্মারকলিপি দিয়ে দাবি করেন, ১৫ ইঞ্চির মনিটর-সহ মেশিনটির পরিবর্তে ১৭ ইঞ্চির মনিটর-সহ মেশিন হাসপাতালে বসাতে হবে।

Advertisement

প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, “জঙ্গলমহলের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য সরকার টাকা বরাদ্দ করলেও এক শ্রেণীর আধিকারিকদের অনৈতিক মনোভাবের কারণে পরিষেবা মিলছে না।” পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “এই অভিযোগের কারণ জানা নেই। হাসপাতালের রেডিওলজিস্টের প্রস্তাব মতো ১৭ ইঞ্চির মনিটরের উল্লেখ ছিল টেন্ডারে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৫ ইঞ্চি মনিটর-সহ মেশিনটি রিসিভ করেন। মেশিনটিতে সমস্যাও নেই। গত চার মাস ধরে তারর ব্যবহারও হচ্ছে।”

ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের সুপার মলয় আদক অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement