অম্বল রুখতে কী ভাবে রাঁধবেন ছোলার ডাল? ছবি: সংগৃহীত।
দুপুরের ভোজে ডাল না হলে চলে না অনেকের! রাতের খাবারেও যদি থাকে লুচি আর ছোলার ডাল কিংবা রুমালি রুটি আর তরকা, হলে মন্দ হয় না। স্বাস্থ্যের কথা ভাবলেও রোজকার ডায়েটে ডাল রাখা ভাল। তবে ডাল খেলে অনেকেরই বদহজম হয়। ছোলার ডাল, মটর, কাবলি ছোলা, মুগ ডালের মতো খাবারে থাকা লেকটিনস ও ফাইটিক অ্যাসিড নামের উপাদান। এই দুই উপাদান হজম হতে বেশি সময় নেয়। অম্বলের সম্ভাবনাও থাকে। ডাল খেতে ভাল লাগলেও তাই অনেকেই আবার তা খেতে পারেন না গ্যাস-অম্বলের ভয়ে।
যাঁদের ডাল খেলে অম্বল হয়, তাঁরা কী করবেন? এই সমস্যা থেকে বাঁচার সহজ রাস্তা, ডাল বেশ কিছুটা সময় ভিজিয়ে রাখা। এতে লেকটিনস ও ফাইটিক অ্যাসিড দ্রবীভূত হয়ে যায়। এগুলি হজমের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। এ ছাড়া ডালে ভরপুর মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে, যা হজম হতে বেশ সময় নেয়।
বদহজমের সমস্যা এড়িয়ে চলতে হলে ডাল রান্না করতে হবে নিয়ম মেনে। প্রথমত, ডাল জলে ভিজিয়ে রগড়ে রগড়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। এই ভাবে তিন বার জল পরিবর্তন করে ডাল ভাল করে ধুয়ে নিলে হজমের সমস্যা কিছুটা কমবে। কিন্তু তার পরেও ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। মুগ-মুসুর ডাল কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা উচিত। আর ছোলার ডাল হলে তা নিদেনপক্ষে ১২ ঘণ্টা। এ ক্ষেত্রে গরম জল ব্যবহার করলে ভাল হয়। এ ভাবে ভিজিয়ে রাখলে ডাল খেলে অম্বলের সমস্যা কমবে। ডাল রান্নার সময় আদা, মৌরি, ধনে, জিরে, গোলমরিচ, হিং ব্যবহার করলে হজম করা সহজ হয়। ডালকে অল্প আঁচে অনেক ক্ষণ ধরে রান্না করলে তাতে উপস্থিত ফাইবারগুলি ভেঙে যায়, ফলে হজমে সমস্যা হয় না।