পোশাকের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
পোশাক হতে হবে টানটান। কোথাও এতটুকু ভাঁজ পড়বে না। নয়তো মনের মধ্যে একটা অশান্তি চলতেই থাকে। তাই অফিস যাওয়ার আগে আলমারির অন্ধকারে অবহেলায় পড়ে থাকা পোশাকের ভোল ফেরাতে রীতিমতো যুদ্ধ চলে। পোশাক নিয়ে খুঁতখুঁতে বলে পোশাক ইস্ত্রি করার দায়িত্ব অনেকেই অন্যকে দেন না। ওয়াশিং মেশিনে কাচা কিংবা রোজ ইস্ত্রি করা পোশাকের যত্ন নেওয়ার শেষ কথা নয়। পোশাক দীর্ঘ দিন পর্যন্ত নতুনের মতো লাগতে হলে কোন নিয়মগুলি মেনে চলতেই হবে?
১) জামা-কাপড় কিনে খুঁটিয়ে পড়ে ফেলুন ট্যাগ। তাতে দাম ছাড়াও লেখা থাকে জরুরি কিছু কথা। ওতেই থাকে পোশাকের মান, ফ্যাব্রিক ও তা যত্ন নেওয়ার নিয়ম। সব পোশাক যেমন ঘন ঘন কাচা যায় না, আবার কিছু জামা-কাপড় আছে, যেগুলি রোজ কাচলেও দোষ নেই। পোশাকে ঘন ঘন ইস্ত্রি দরকার কিনা বা প্রয়োজনে কতটুকু ইস্ত্রি যথেষ্ট— তার খতিয়ানও কিন্তু দেওয়া থাকে নামী সংস্থার পোশাকে। কাজেই সেগুলি মেনে চললে দিনের পর দিন নতুন দেখাবে পুরনো পোশাকও।
২) প্রায় সব ধরনের ডিটারজেন্ট বা লিকুইডে কম-বেশি একই রাসায়নিক থাকে। মূলত ফসফেট, কার্বনেট ও সোডিয়াম স্যালিকেট। এ সব রাসায়নিকের অণুগুলোর একাংশ ‘ওয়াটার লাভার’। যা সহজেই জলে মেশে। অপর অংশ কিন্তু ‘ওয়াটার হেটার’। যা মেশে তেলের সঙ্গে। বিভিন্ন রকমের ডিটারজেন্টে এর হিসেব আলাদা-আলাদা হয়। কাজেই কোন ধরনের পোশাকের জন্য কী সাবান বাছবেন, সেটাও সাবানের মান দেখে ঠিক করুন।
৩) আলনা নয়, চেষ্টা করুন আলমারি ব্যবহার করতে। আলনায় ঝুলিয়ে রাখলে পোশাকের বিশেষ অংশের উপর চাপ পড়ে। ফলে আলনার রডের সঙ্গে লেগে থাকা অংশে ভাঁজ তৈরি হতে পারে। ক্ষতি হয় ওই জায়গার ফ্যাব্রিক। তার চেয়ে ন্যাপথালিন ছড়িয়ে আলমারিতে রাখুন পোশাক।