বিমানে শিশুর কান্না থামানোর উপায় জেনে রাখা জরুরি। ছবি:সংগৃহীত।
বড় হয়ে নয়, ছোট থেকেই সন্তানকে বেড়ানোর স্বাদ দিতে চান অনেক বাবা-মা। পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র দেখে তাই বুঝুক আর না বুঝুক, একরত্তিকে নিয়েই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। তবে খুদেকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার বেশ ঝক্কি আছে। বাড়িতে সামলানোই কঠিন হয়ে পড়ে, সেখানে অজানা পরিবেশে, অচেনা মানুষ দেখলে খুদের অস্থির হয়ে পড়া স্বাভাবিক। শিশুকে নিয়ে বিমানে চড়ার সময়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন অনেকেই। বিমানে চাপলেই শিশু যেন তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে কান্নাকাটি তো আছেই। মাঝ আকাশে কী ভাবে শিশুকে শান্ত করবেন, বুঝতে পারেন না অনেকেই। শিশুদের ভিতরে কী সমস্যা হচ্ছে, কেন কাঁদছে, তা বাইরে থেকে সব সময়ে বুঝে নেওয়া সম্ভব হয় না। তবে সম্ভাব্য কয়েকটি সমস্যার কথা মাথায় রেখে সমাধানের উপায়গুলি জেনে রাখা জরুরি।
১) বিমানে ওঠার আগে শিশু যেন অন্তত ২-৩ ঘণ্টা ঘুমোয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। অনেক সময়ে ঘুম কম হলে কিংবা কাঁচা ঘুম ভেঙে গেলে কান্নাকাটি করতে থাকে একরত্তি। দীর্ঘ সময়ের কোনও যাত্রার ক্ষেত্রে তাই শিশুর ঘুম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২) মুখে কথা ফোটেনি। তাই খিদে পেলেও মুখ ফুটে যে বলবে, তার উপায় নেই। কিন্তু বাবা-মাকে তা বুঝতে হবে। তাই সঙ্গে সব সময়ে বাচ্চার খাবার রাখতে হবে। খুব ভাল হয় দুধের বদলে যে খাবার খেতে শিশু পছন্দ করে, সেগুলি যদি কাছে রাখা যায়।
৩) বিমানের চাকা মাটি ছোঁয়ার সময়ে শব্দে বড়দেরও বেশ অস্বস্তি হয়। সেখানে শিশুদের বিরক্তি এবং আতঙ্কের মাত্রা অনেক বেশি। সেই শব্দ যাতে শিশুর কানে না পৌঁছয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে বাচ্চার কানে তুলো গুঁজে দিতে পারেন। তা হলে আর কানে শব্দ পৌঁছবে না। শিশুও শান্ত থাকবে।
৪) এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকলেই শিশুদের কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। বিমানে খেলে বেড়ানোর জায়গা নেই। বিমানের মেঝেতে পাতা কার্পেটে যদি বাচ্চাকে ছেড়ে দেন, তা হলে কান্না বন্ধ হতে পারে। তবে শিশুটির সঙ্গে কিন্তু সব সময়ে এক জনকে থাকতে হবে।