তেল, আটা, নুন কিনতেই পকেটে চাপ। প্রতীকী চিত্র।
সপ্তাহান্ত মানেই ভূরিভোজ, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, পছন্দের কাজ করা আর বাকি সপ্তাহের জন্য বাজার সেরে রাখা। বিশেষ করে হেঁশেলে তেল, হলুদ, নুন, চিনির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি শেষ হওয়ার আগেই কিনে রাখেন অনেকে। মাছ, মাংস, ডিম কেনা যতটা সহজ, মুদিখানার জিনিস কিনতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন অনেকেই। হয় কোনও জিনিস বেশি কিনে ফেলেন, নয়তো প্রয়োজনীয় জিনিসটাই কিনতে ভুলে যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন সমস্যা হয়। এই ঝক্কি পোহাতে না চাইলে মুদিখানার জিনিস কিনতে যাওয়ার আগে একটি পরিকল্পনা করে নিন। পরিকল্পনামাফিক চললে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
দরকারি জিনিসগুলির তালিকা বানান
কোন জিনিসগুলি কেনা জরুরি, তার একটি তালিকা তৈরি করে নিন প্রথমে। একটা কাগজে সব জিনিস পরিমাণ-সহ মনে করে লিখে ফেলুন। তার পর সেই তালিকাটি সঙ্গে নিয়ে দোকানে যান। তালিকা মিলিয়ে প্রতিটি জিনিস কিনলে ভুল হওয়ার কথা নয়। পরিকল্পনা করে কেনাকাটা করে বাড়তি খরচ হওয়ারও আশঙ্কা কম।
দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এমন খাবার কিনবেন না
দোকান থেকে কিনে আনার দু’-তিন দিন পর ব্যবহার করলে নষ্ট হয়ে যাবে, এমন খাবার একসঙ্গে বেশি করে কিনবেন না। তাতে টাকা ব্যয় হবে। দুধ, দই, পনির— এই ধরনের খাবার খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় না। অল্প দিনেই এই খাবারগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পাউরুটি, কেকও এই তালিকায় পড়ে।
কিছু জিনিস একসঙ্গে কিনলে বেশি লাভ
দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, এমন খাবার একসঙ্গে কিনলে যেমন অর্থ বেশি ব্যয় হয়। তেমন কিছু জিনিস রয়েছে, যেগুলি একসঙ্গে অনেক কিনে নিলে সাশ্রয় হয়। এই তালিকায় পড়ে হ্যান্ডওয়াশ, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, বডি লোশন, চিনি, ডালের মতো খাবার। এগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সব সময়ে দরকার পড়ে। একেবারে অনেক পরিমাণে কিনে রাখলে বার বার কেনার প্রয়োজন পড়ে না।