কফির সংরক্ষণের নিয়মকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
অন্যান্য সময়ে না হলেও শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় কফির কাপে চুমুক না দিলেই নয়। এখন আবার রূপচর্চাতেও কফির বাড়বাড়ন্ত। মুখ, শরীর থেকে মাথার ত্বক— কফির গুণে নাকি সবই প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে পারে। তাই অনলাইন ই-কমার্স সাইট থেকে অনেকটা পরিমাণে কফি কিনে ফেলেছেন। এখন সমস্যা হল এই পরিমাণ কফি সবটা তো শিশিতে ঢেলে রাখা যাবে না। প্যাকেটের মুখ কেটে ফেলার পর, তা পুনরায় সিল করার উপায়ও জানা নেই। সে ক্ষেত্রে কফির স্বাদ বা গন্ধ নষ্ট হয়ে যেতেই পারে। অনেকেই বলেন, রেখে দেওয়া পুরনো কফি খেলে নাকি পেটেরও সমস্যা হয়। অন্যান্য খাবারের মতো কি তা হলে কফিরও নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে?
কফির মেয়াদ কি সত্যিই ফুরিয়ে যেতে পারে?
অনেক দিন ধরে গুঁড়ো কফি ফেলে রাখলে সাধারণত জমাট বেঁধে যায়। কফির সুন্দর গন্ধও নষ্ট হতে পারে। অনেকেই বলেন, সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করলে কফির স্বাদ পাল্টে যেতে পারে। তবে, অন্যান্য পচনশীল খাবারের মতো কফির কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ হয় না। সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করতে জানলে কফি বিন্স বা কফি গুঁড়ো বছরের পর বছর একই রকম ভাবে ভাল থাকতে পারে। সেই কফি খেলে পেটের সমস্যা হওয়ারও কথা নয়। তবে কফির স্বাদ এবং গন্ধ যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
কী ভাবে রাখলে বছরভর ভাল থাকবে কফি?
১) এ ক্ষেত্রে কাচের বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করাই শ্রেয়। শিশির মধ্যে যাতে আলো, হাওয়া কম প্রবেশ করে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
অন্যান্য খাবারের মতো কি তা হলে কফিরও নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে? ছবি: সংগৃহীত।
২) রোদ লাগলে কফির সমস্ত গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এমন জায়গায় কফির শিশি রাখা যাবে না, যেখানে রোদ আসে। আবার একই রকম অসুবিধে হতে পারে আগুনের আঁচ লাগলেও। তাই গ্যাস অভেনের আশপাশে কফির শিশি না রাখাই ভাল।
৩) জলের জায়গায় কিংবা নোনা ধরা দেওয়ালের আশপাশেও কফির শিশি রাখা যাবে না। তাতে কফির দলা পাকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। কফির গন্ধ বজায় রাখতে অনেকেই ফ্রিজের মধ্যে কফির শিশি রেখে দেন। ফ্রিজ থেকে বার করে কিছু ক্ষণ রাখলেই শিশির গা থেকে জল বেরোতে শুরু করবে। সে ক্ষেত্রেও কফি জমাট বেঁধে যেতে পারে।
৪) চড়া গন্ধযুক্ত কোনও খাবার কিংবা মশলার সঙ্গে কফি রাখা যাবে না। ঝাঁঝালো সেই গন্ধ অচিরেই কফির ঘ্রাণ নষ্ট করে দিতে পারে।
৫) অভিজ্ঞরা বলছেন, কফি যদি রাখতেই হয় তা হলে বিন হিসেবে রাখাই ভাল। প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণ কফির বিন নিয়ে, তা গুঁড়ো করে নিলেই হবে। তাতে স্বাদ এবং গন্ধ— দুই-ই বজায় থাকবে।