লম্বা চুল পেতে মেনে চলুন কিছু সহজ উপায়। ছবি: শাটারস্টক।
হাতে সময় কম। পরিচর্যার জন্য অবসর খুব একটা মেলে না। তবু লম্বা ঘন চুলের কদর অনেকের কাছেই অমূল্য। চুলের ঠিকঠাক যত্ন না নিলে কিছুতেই মজবুত ও লম্বা চুল মেলে না। এ দিকে যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের অভাবের কারণেই অনেকে চুল ছোট করে ফেলেন।
এ ছাড়া বড় চুল রক্ষণাবেক্ষণেও কিছুটা সময় যায় ঠিকই। তবু কিছু নিয়ম মানলে ঘরোয়া ও কম সময়ের যত্নেই চুল হয়ে উঠতে পারে মজবুত ও লম্বা। ঠিক কী কী উপায় মেনে চললে মনের মতো লম্বা চুল পাবেন, হদিশ দিলেন রূপবিশেষজ্ঞ সোমা দত্তগুপ্ত।
তেল: কথাতেই বলে তেলে চুল তাজা। কাজেই তেল বাদ দিয়ে চুলের কোনও আধুনিক যত্ন সম্ভব নয়। প্রতি দিন রাতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল ও এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করুন। হালকা ঠান্ডা করে মাথায় ভাল করে মাসাজ করুন। এতে মাথার ত্বক ও চুল দুই-ই পুষ্টি পাবে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে পোশাক কেনেন? এ সব বিষয়ে সতর্ক না হলেই মুশকিল!
ডগা ছাঁটুন: অনেকেই মনে করেন, কষ্ট করে বাড়ানো চুল ঘন ঘন ছাঁটলে ছোট হয়ে যাবে। আদতে বাস্তব ঠিক তার উল্টোটা। প্রতি তিন মাস অন্তর চুলের ডগা ছাঁটুন। নইলে চুলের ডগা ফেটে যাবে। চুল বাড়বে না।
নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছাঁটাতেই লুকিয়ে চুলের স্বাস্থ্য।
ওষুধ: অনেকের শারীরিক কোনও অসুখের কারণে চুল বাড়তে চায় না। কারও বা চুল ঝরে যাওয়ার কারণও কোনও রোগ। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভিটামিন বি, বায়োটিন ও অ্যান্টিঅ্যাক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধের প্রয়োজন পড়লে তাও নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।
কন্ডিশনার: শ্যাম্পুর পর অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। চুল বাড়াতে গেলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে। নইলে চুল রুক্ষ্ম হবে ও ডগা ফাটবে।
আরও পড়ুন: আদা-জল খেয়ে লেগে পড়ার প্রবাদ তো শুনেছেন? আদৌ এই পানীয়ের কোনও গুণাগুণ আছে কি?
ঠান্ডা জল: বর্ষা হোক বা শীত— চুল ধোয়ার জন্য গরম জল একেবারেই নয়। সবসময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। এমনকি শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের পর চুলে ভাল করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে দিন।
যন্ত্র নয়: ঘন ঘন চুল স্ট্রেট করা, কার্ল করা বা শুকনো করার জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। এই সব যন্ত্রের প্রভাবে চুল নষ্ট হয় দ্রুত। গোড়া আলগা হয়, ডগাও ফাটে। তাই একান্ত প্রয়োজন না পড়লে যন্ত্র এড়িয়ে চলুন। মাসে এক বারের বেশি যন্ত্রের ব্যবহার না করাই ভাল।