ঠান্ডায় বাথরুমে যেতেই গা শিরশির করে। অনেকের স্নানেও কামাই শুরু। কিন্তু সারা দিনে বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন তো এড়ানো যায় না। ফলে পা ভিজে কাঁপুনি শুরু। দাওয়াই একটাই। শুকনো বাথরুম। তার জন্য আগে জরুরি স্নানঘরকে ওয়েট ও ড্রাই— এই দু’ভাগে ভাগ করে নেওয়া। কমোড যে দিকে থাকবে, স্বভাবতই সে দিক শুকনো। অন্য দিকে স্নান বা শাওয়ারের জায়গা পড়বে ওয়েট অংশে। এই অংশটিই যদি মুড়ে ফেলা যায় বাথ ইউনিট বা শাওয়ার এনক্লোজ়ার দিয়ে, মুশকিল আসান।
বাথ ইউনিট বা শাওয়ার এনক্লোজ়ার কী?
মূলত স্নানের জল আসার ব্যবস্থা থাকে এই ইউনিটে। গরম ও ঠান্ডা জলের কল এবং শাওয়ার। এই শাওয়ারের জল বা স্নানের জল যাতে বাকি বাথরুম ভিজিয়ে না দেয়, তাই ওয়েট এরিয়া আলাদা করা থাকে কাচের দরজা দিয়ে।
রকমফের
বাথ ইউনিট অনেক ধরনের হয়। কল ও শাওয়ারের ধরন অনুসারে তা পালটে যায়। কখনও সব ক’টি ফিচার ওয়াল মাউন্টেড হয়। কখনও হ্যান্ডহেল্ড শাওয়ারও জোড়া থাকে। কিছু ইউনিটে আবার নীচের অংশে বাথটাবও থাকে। তবে তার জন্য স্নানঘরে অনেকটা জায়গার প্রয়োজন। সেমি ফ্রেমড, ফ্রেমলেস, ফ্রেমড, স্লাইডিং রেঞ্জ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের শাওয়ার এনক্লোজ়ার পাওয়া যায়। আপনার বাড়ির জন্য কোনটা ভাল মানাবে, সেই অনুযায়ী বেছে নিতে হবে। বাথ ইউনিট বিভিন্ন আয়তনের হয়। তাই কিনতে যাওয়ার আগে আপনার বাথরুমের আয়তন হিসেব করে নিন। তার মধ্যে কতটা অংশ বাথ ইউনিটের জন্য বরাদ্দ, তা ভেবে সেই মাপের বাথ ইউনিট কিনুন। দরজার ধরন অনুযায়ী বাথ ইউনিট পালটে যায়। এক দিক কাচ দিয়ে ঘিরে অন্য দিকে স্লাইডিং ডোর থাকতে পারে। ওপেন ডোরও থাকতে পারে। আবার দু’দিকে খোলা যায় এমন কাচের ওপেন ডোরও থাকতে পারে। আকারের দিক থেকেও বিভিন্ন রকমের হয়। চৌকো, ত্রিকোণ, ডিম্বাকার ইত্যাদি বিভিন্ন শেপেরও কিনতে পারেন। কল বা শাওয়ারের ফিক্সচার আবার স্টিল, কপারের হয়। তার উপরে নির্ভর করে দামও।
বাথ ইউনিট ব্যয়সাপেক্ষ। ফলে কেনার আগে খুঁটিনাটি জেনে কিনুন।