এসি চালনোর খুঁটিনাটি। ছবি: সংগৃহীত।
তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী। অস্বস্তি কমার কোনও লক্ষণ নেই। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, গরম আরও বাড়বে। এই অসহনীয় গরম থেকে মুক্তি পেতে অনেকের বাড়িতেই নতুন এসি এসেছে। কেউ আবার পুরনো যন্ত্রটি বদলে নতুন একটি কিনেছেন। তবে এসি বাড়িতে আনা মাত্রই যে সমস্ত অস্বস্তির অবসান, তা তো নয়। কারণ কেনার পরেই সবচেয়ে বেশি কাজ থাকে। প্রথমেই যন্ত্রটি সুবিধামতো ঘরের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্থাপন করতে হয়। সেই কাজটি না হয় দক্ষ কাউকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু নিত্য ব্যবহার করার জন্য তো যন্ত্রটির খুঁটিনাটি জানা জরুরি। বিশেষ করে এসি ব্যবহার করার কোনও পূর্ব অভ্যাস না থাকে, তা হলে থাকলে এটি পরিচালনা করতে বেশ বেগ পেতে হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে আবার বিগড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই সঠিক পদ্ধতি জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ এসি চালানোর ক্ষেত্রে নানা ধরনের মোড রয়েছে। এসি চালানোর ক্ষেত্রে সেগুলিই আসল। সেটা জেনে নিলেই এসি ব্যবহার করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
ডিফল্ট মোড
অনেকেই বাড়ির এসিতে ডিফল্ট মোড করে রাখেন। এই মোডের আদর্শ তাপমাত্রা হল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় এসি চালালে কম্প্রেসরে চাপ কম পড়ে। এসি দ্রুত বিগ়়ড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কম।
কুইক কুল মোড
ঘর দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য এই মোডে এসি চালানো হয়। কুইক কুল মোডে ১৬-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসি চলে। কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে এতে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়।
ফ্যান মোড
এই মোডে এসির ভিতরের ফ্যান অনবরত ঘুরে বাতাস তৈরি করে। এতে এসির কম্প্রেসর বন্ধ থাকে। সে কারণে এই মোডে এসি চালালে ঠান্ডা বাতাস বার হয় না। অন্য দিকে বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয়।
ড্রাই মোড
ড্রাই মোড ঘরের বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। এই মোডে বাতাস থেকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করার জন্য এসির ফ্যানের গতিবেগ কম থাকে। কম্প্রেসর কিছু সময়ের জন্য চালু থাকে। এতে ঘর একেবারে ঠান্ডা হয়েও যায় না। আবার গরমের ভাবও কেটে যায়। বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয়।
স্লিপ মোড
রাতে সব সময় স্লিপ মোডে এসি চালানো উচিত। এই মোডে এসি চললে প্রতি ঘণ্টায় এসির তাপমাত্রা বাড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে ঘুমোনোর সময় বেশি ঠান্ডাও লাগে না। আবার ঠান্ডা ঠান্ডা একটা ভাব থাকে।