শীতের আবহে পোষ্যকে ফিট রাখবেন কোন উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত।
পুরোপুরি শীত না পড়লেও ঠান্ডার একটা আমেজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি-জ্বর তো রয়েছেই। এই আবহে বাড়ির পোষ্যটিকেও কিন্তু সুরক্ষিত রাখতে হবে। পোষ্যেরা কথা বলতে পারে না। ওদের প্রতিরোধ ক্ষমতাও মানুষের চেয়ে কম। ফলে যে কোনও রোগ জাঁকিয়ে বসে পোষ্যের শরীরে। তাই শীতের এই মরসুমে পোষ্যটিও যাতে সুস্থ থাকে, সে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন
শীতকালীন রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা জোগাবে যে খাবারগুলি, সেগুলিই বেশি করে খাওয়ান পোষ্যকে। যাতে জ্বর, ঠান্ডা লাগার মতো শারীরিক সমস্যাগুলি পোষ্যকে ছুঁতে না পারে। দরকার হলে পোষ্যের খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
শারীরিক ভাবে সক্রিয় রাখুন
এমনিতেই পোষ্যরা সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়ায়। তবে শীতের মরসুমে পোষ্যকে বাড়তি সক্রিয় রাখা জরুরি। বাড়িময় দৌড়ঝাঁপ তো করবেই, পাশাপাশি সময় পেলে পোষ্যকে নিয়ে মাঠে যান। তবে সন্ধ্যার দিকে নয়। খুব ভাল হয় সকালে রোদ উঠলে তখন হাঁটাতে নিয়ে যান। রোদের সংস্পর্শে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে পোষ্যের।
শীতকাল মানেই পোষ্যদের নানা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
জল খাওয়ান পর্যাপ্ত পরিমাণে
শীতের মরসুমে পোষ্যেরা জল খাওয়া কমিয়ে দেয়। সে দিকে বাড়তি নজর দিন। জল যত বেশি খাওয়াবেন, রোগবালাই থেকে তত দূরে থাকবে পোষ্য। জল কম খেলেই নানা রোগবালাই বাসা বাঁধবে শরীরে। সেই ঝুঁকি এড়াতে পোষ্য বেশি জল খাচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখুন।
পশুচিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
পোষ্যকে সারা বছর যে চিকিৎসক দেখেন, শীত আসার আগে পোষ্যকে নিয়ে এক বার তাঁর কাছে যান। শীত পড়ার আগে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। তা ছাড়া, শীতকাল মানেই পোষ্যদের নানা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ে। পোষ্যকে সুরক্ষিত রাখতে একটা ডায়েট চার্টও বানিয়ে নিন।