শীতে শুষ্ক ত্বকের খেয়াল রাখবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
শীত এলেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। বিভিন্ন বয়সে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকে জলের পরিমাণ কমে যায়। ফলে আর্দ্রতা হারায় ত্বক। তা ছাড়া, শীতে তেষ্টাও অনেক কম পায়। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় কম জল প্রবেশ করে শরীরে। মূলত জলের অভাবেই ত্বক ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়। শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা নতুন কিছু নয়। তবে কয়েকটি নিয়ম মানলে ত্বকের সজীবতা বজায় রাখা সম্ভব।
ক্লিনজার
সারা বছর ত্বকে যেমন যত্ন নিতে হয়, তবে তার চেয়ে একটু বেশিই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। হালকা ফেসওয়াশও কোনও কোনও ত্বকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। যে সব সাবান বা ফেসওয়াশে বেশি ফেনা হয়, সেই সব প্রসাধনী এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
ময়েশ্চারাইজার
ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার এই সময়ে ত্বকের যত্নে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা বডি লোশনের পরিবর্তে ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো অয়েল এবং তিলের তেল খুবই উপকারী।
ভিটামিন ডি
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভিটামিন ডি অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন ডি তৈরি হবে বল সূর্যের আলোয় বসে থাকলেই হবে না। কারণ রোদ লাগলেও সকলের শরীরে এক রকম ভিটামিন ডি তৈরি হয় না। তাই হাড় মজবুত হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ারও প্রয়োজন আছে।
যে সব সাবান বা ফেসওয়াশে বেশি ফেনা হয়, সেই সব প্রসাধনী এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
গরম জলের ব্যবহার কম
গরম জলে স্নান করে আরাম লাগলেও শীতকালে কিন্তু গরম জল ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। গরম জল ত্বকের উপরের অংশে থাকা প্রাকৃতিক তেলের স্তর নষ্ট করে। ফলে ত্বক বাইরে থেকে শুষ্ক দেখায়।
সাবান ব্যবহার কম
শীতকালেও ত্বকে তরল সাবান মাখতে পারলে ভাল। এমনি সাবানে ক্ষারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ক্ষার ত্বক আরও শুষ্ক করে তোলে। তাই শীতে অতিরিক্ত সাবানের ব্যবহার না করাই ভাল।