মিলেট দিয়ে কী কী বানাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ডায়েট করতে গিয়ে জানতে পেরেছিলেন, শরীরে মেদ জমার পিছনে হাত রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের। ওজন ঝরাতে চাইলে এই উপাদান বেশি রয়েছে, এমন খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল। তাই ভাত, রুটি ছেড়ে মিলেটের উপর জোর দিয়েছেন। গুজরাত, রাজস্থান-সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে জোয়ার, বাজরা, রাগি থেকে তৈরি খাবার খাওয়ার চল বেশি। তবে, বাঙালিরাও ইদানীং এই খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। পুষ্টিবিদদের মতে, এই জাতীয় খাবারে গ্লুটেন থাকে না। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর এই খাবার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ভাত কিংবা রুটির বিকল্প হিসাবে মিলেট খাওয়াই যায়। তবে, মুশকিল হল পদ নিয়ে। তিন বেলা যে মিলেট খাবেন, খিচুড়ি ছাড়া আর তো কিছুই রাঁধতে পারেন না! মুশকিল আসান করতে মিলেট দিয়ে তৈরি তিনটি পদের প্রণালী রইল এখানে।
মিলেট পরিজ:
দুধ খেতে যদি অসুবিধা না থাকে, তা হলে খেতে পারেন পরিজ। সেদ্ধ মিলেট দুধে ফুটিয়ে তার সঙ্গে একটু মধু এবং পছন্দের ফলের টুকরো মিশিয়ে নিলেই পরিজ তৈরি। সকালের জলখাবার হোক কিংবা ডিনার— পরিজ খেতে মন্দ লাগে না।
মিলেট স্যালাড:
প্রতি দিন শুধু সব্জি কিংবা ফল দিয়ে তৈরি স্যালাড না খেয়ে তার মধ্যে সেদ্ধ মিলেটও মিশিয়ে নিতে পারেন। অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। অথচ বেশি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করবে না।
মিলেট উপমা। ছবি: সংগৃহীত।
মিলেট উপমা:
সুজি দিয়ে উপমা তো নিশ্চয়ই খেয়েছেন। তবে, যাঁদের গ্লুটেনে অ্যালার্জি রয়েছে, গমজাত খাবার খেলে তাঁদের পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই সুজির বদলে উপমা তৈরি করতে পারেন সেদ্ধ মিলেট দিয়ে। সঙ্গে নানা রকম সব্জি, চিনেবাদাম থাকতেই পারে। কারিপাতা আর সর্ষের ফোড়ন দিলে তো কথাই নেই।