সবুজের ছোঁয়া মানসিক স্নিগ্ধতা এনে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
সবুজের ছোঁয়া মানসিক স্নিগ্ধতা এনে দেয়। কিন্তু নাগরিক বৃত্তে সব সময় সবুজের কাছাকাছি যাওয়া হয়ে ওঠে না। তাই সবুজকে নিজের কাছাকাছি রাখতে অনেকেই অন্দরসজ্জায় গাছ ব্যবহার করেন। বাড়ির শোভা বৃদ্ধি করতে ‘ইনডোর প্ল্যান্ট’-এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তবে ঘরের ভিতর গাছ লাগিয়ে সার আর জল দিলেই হবে না, খেয়াল রাখতে হয় পোকামাকড়ের দিকেও। এমন অনেক কীটপতঙ্গ রয়েছে, যারা বর্ষার মরসুমে গাছের উপর আক্রমণ করে। সাধের গাছগুলি অকালেই মরে যায়। বাজারি কীটনাশকে রাসায়নিক থাকায় অনেকেই গাছের পরিচর্যায় এগুলি ব্যবহার করতে চান না। প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। জেনে নিন, কী ভাবে রাসায়নিক যুক্ত কীটনাশক ছা়ড়াই গাছের পোকামাকড় দূর করবেন।
জেনে নিন, কী ভাবে রাসায়নিক যুক্ত কীটনাশক ছা়ড়াই গাছের পোকামাকড় দূর করবেন। ছবি: সংগৃহীত।
নিমপাতা: কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক হিসেবে নিমপাতার জবাব নেই। এই ভেষজটির তিক্ত স্বাদ এবং তীব্র গন্ধ রয়েছে, যা গাছপালা থেকে পোকামাকড় দূরে রাখতে পারে। নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা গাছের গোড়ায় দিয়ে রাখতে পারেন। এ ছাড়া রাতে নিমপাতা জলে ভিজিয়ে রেখে এবং পরের দিন সকালে সেই জল গাছে ছিটিয়ে দিতে পারেন। গাছকে কীটপতঙ্গ থেকে বাঁচাতে নিমতেলও ব্যবহার করতে পারেন। গাছের পোকামাকড় দূর হবে সহজেই।
নুন: নুনেই হতে পারে সমস্যার সমাধান। পরিমিত পরিমাণে নুন কীটনাশকের কাজ করে। এটি কেবল কীটপতঙ্গ প্রতিরোধে সহায়তা করে না, পাশাপাশি গাছকে ফসফরাস ও সালফারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান গ্রহণ করতেও সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে জলে কিছুটা নুন মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে গাছগুলিতে ছিটিয়ে দিন। এ ছাড়াও, গাছের গোড়ার চারপাশে নুন ছিটিয়ে দিতে পারেন। দূরে থাকবে পোকামাকড়।
হিং: হিংয়ের গন্ধও গাছ থেকে পোকামাকড় দূরে রাখে। এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। এক গ্লাস জলে এক চিমটে হিং মিশিয়ে তিন-চার ঘণ্টা রেখে দিন। এবার এই জল একটি স্প্রে-বোতলে ভরে গাছে স্প্রে করুন। এতেই পোকামাকড় দূর হবে।