একটা বয়সের পর স্বাভাবিক ভাবেই শরীর থেকে ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে যায়। — প্রতীকী চিত্র।
রক্তে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে কী কী হতে পারে, তা অনেকেই জানেন। দাঁত এবং হাড়ের ক্ষয় তো বটেই, সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ত্বকের সমস্যা, বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করতেও সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, ভিটামিন ডি-র অভাবে ক্যানসার এবং ডায়াবিটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং স্থূলত্বের সঙ্গেও এই ভিটামিনের অভাবের যোগ রয়েছে। তবে একটা বয়সের পর স্বাভাবিক ভাবেই শরীর থেকে ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে যেতে পারে। মহিলাদের একটা বয়সের পর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে, বিভিন্ন হরমোনের মাত্রাও হ্রাস পেতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে ভিটামিন ডি-র উপর।
আর কোন কোন কারণে রক্তে ভিটামিন ডি-র অভাব হতে পারে?
১) ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার না খাওয়া
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি-র ওষুধ কিংবা সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতেই পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতি দিনের সাধারণ খাবার থেকেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু খাবারের তালিকায় ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, তেলযুক্ত মাছ— এই ধরনের খাবারগুলি না রাখলে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হবেই।
২) রোদ না লাগানো
দিনের বেশির ভাগ সময়েই ছায়ার মধ্যে কাটান। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ছাড়া থাকতে পারেন না। সূর্যের রোদ গায়ে না লাগালে শরীরে ভিটামিনের অভাব হতেই পারে। ত্বকে রোদ লাগলে বিশেষ এক সিন্থেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভাবেই ভিটামিন ডি তৈরি হয়। তাই রোদে না পুড়লেও অল্প কিছুটা সময় খোলা জায়গায় থাকতেই হবে।
৩) ভিটামিন ডি শোষণে সমস্যা
অনেকেই বলেন, নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া সত্ত্বেও ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে যাচ্ছে কেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, বাইরে থেকে ভিটামিন ডি-র জোগান দিলেও নির্দিষ্ট কিছু উপাদানের অভাবে তা শোষণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
(প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশে লেখা। রোগ নির্ধারণ এবং চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।)