রোজ সকালে এক গ্লাস এমন পানীয় চনমনে রাখে শরীর।
আগের মতো কথায় কথায় নরম পানীয় খাওয়ার দিন আর নেই৷ অন্য অসুখ-বিসুখের ভয় তো আছেই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রতি পদে৷ নিজেকে চনমনে রাখার জন্য চা ভাল কাজ করলেও, দু’-চার কাপের বেশি খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা৷ আর কফি তো দু’-এক কাপের বেশি একেবারেই ঠিক নয়৷
তা হলে আর বাকি রইল কী? কোন পানীয় আছে যা, একই সঙ্গে ক্লান্তি দূর করে চনমনে রাখবে, আবার রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতাও জোগাবে? পুষ্টিবিদ প্রিয়াঙ্কা মিশ্র জানিয়েছেন, ঘরে কম তেলে বানানো সুষম খাবার খেতে হবে চার বেলা৷ তার সঙ্গে চাই একটি বিশেষ পানীয়। তা রোজ সকালে খালি পেটে খেতে হবে৷
কী সেই পানীয়? নানা জিনিসের মিশেলে তৈরি হবে সেটি। কী কী থাকবে তাতে? কাঠ বাদাম ও খেজুর তো থাকবেই। তারই সঙ্গে মেশাতে হবে দুধ, ঘি, কাঁচা হলুদ বাটা ও এলাচ গুঁড়ো।
কী ভাবে বানাবেন সেই পানীয়?
সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে ১০-১২টা কাঠ বাদাম ও ৫-৬টা খেজুর। সে সবের সঙ্গে আধ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক চিমটি এলাচ গুঁড়ো, এক চা চামচ ঘি ও এক কাপ দুধ মেশাতে হবে৷ সবটা একসঙ্গে মিক্সিতে দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে ভাল করে। পানীয়টি গ্লাসে ঢেলে, তার উপরে দিতে হবে এক চামচ মধু। ব্যস, তা হলেই তৈরি সকালের পানীয়।
এর উপকার অনেক বলেই মত পুষ্টিবিদের। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনই চেহারা উজ্জ্বল হবে। কারণ, কাঠ বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২ এবং ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাসের মতো উপকারি খনিজ৷ নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে কোষের ক্ষতির হার কমে৷ ফলে ডায়াবেটিস-হাই প্রেশার ও কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ, মেদবাহুল্য, মানসিক অশান্তি-উদ্বেগ-অবসাদের মতো ক্রনিক অসুখের প্রবণতাও কমে৷ খেঁজুরে আছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন ও আরও নানা রকম খনিজ৷ আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। তাতে কোষের ক্ষতির হার কমে, সঙ্গে সব ধরনের ক্রনিক অসুখের প্রবণতাও কমে যায়৷