Healthy Diet in Aurveda

ভাত-ডাল-রুটি খেয়েও রোগা হওয়া যায়, শরীর তরতাজা রাখতে ৭ দিনের সুস্বাদু ডায়েটের তালিকা রইল

বাঙালি হেঁশেলে ব্রাউন রাইসের তেমন চল নেই। মা-ঠাকুমাদের যতই ডায়েট বোঝান না কেন, তাঁরা থালায় সেই ভাত, ডাল, মাছ বা রুটি-সব্জিই সাজিয়ে দেবেন। আয়ুর্বেদ বলছে, ভারতীয় খাবারেই এমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা বাকি সব কিছুকে হার মানাতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৫
Share:

সুস্বাদু ও পছন্দের খাবারে সাজানো ডায়েট। ছবি: ফ্রিপিক।

গরম ভাতে এক চামচ ঘি যেন অমৃত। ডায়েট করছেন যাঁরা, তাঁরা শুনলে আঁতকে উঠবেন। এখনকার নানা রকম ডায়েটে ভারতীয় খাবার, যেমন ভাত, ডাল, রুটিকে ব্রাত্যের তালিকায় রেখে কিনোয়া, ওট্‌স, দালিয়া, ব্রাউন রাইসকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আয়ুর্বেদ বলে, যে কোনও খাবারই যদি মেপে খাওয়া যায়, তাতে ক্ষতি নেই। আর ভারতীয় থালি মানে তাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন সম পরিমাণেই থাকে। পরিপূর্ণ সুষম আহার। তেমনই যদি মেনে চলা যায়, তাতেও ওজন কমানো সম্ভব।

Advertisement

বাঙালি হেঁশেলে ব্রাউন রাইসের তেমন চল নেই। মা-ঠাকুরমাদের যতই ডায়েট বোঝান না কেন, তাঁরা থালায় সেই ভাত, ডাল, মাছ বা রুটি-সব্জিই সাজিয়ে দেবেন। আয়ুর্বেদ কিন্তু বলছে, ব্রাউন রাইসের বদলে যদি এক বেলা মেপে অল্প ভাত, ও অন্য বেলা দুটো রুটিই খান, তাতেও কিন্তু ওজনের হেরফের হবে না। কেবল খেতে হবে মেপে ও নিয়ম মেনে। কড়া ধাঁচের ডায়েট যাঁরা মানতে পারছেন না, বা কেবল ফলমূল-বাদাম খেয়ে থাকতে পারেন না, তাঁদের জন্য সুস্বাদু খাবার দিয়েই ডায়েট সাজানো হয়েছে। সাত দিনের ডায়েট প্ল্যান জেনে নিন।

প্রথম দিন

Advertisement

প্রাতরাশে: মেথি দিয়ে বানানো ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ফাইবারে পরিপূর্ণ থেপলা খেতেও দারুণ সুস্বাদু। গাজর, পালংয়ের মতো সব্জি আরও পুষ্টিকর করে তোলে।

দুপুরে: বাজরার রুটি, পালক-পনির, স্যালাড ও কয়েকটি কাঠবাদাম।

রাতে: মুগ ডালের খিচুড়ি সামান্য ঘি দিয়ে, সঙ্গে বিট-গাজর ও মরসুমি সব্জির তরকারি।

দ্বিতীয় দিন

প্রাতরাশে: মশলা দিয়ে বানানো ওট্‌স বা ইডলি। সঙ্গে ড্রাই ফ্রুট্‌স।

দুপুরে: জিরা রাইস, রাজমা কারি, সেদ্ধ সব্জি।

রাতে: সব রকম মরসুমি সব্জি দেওয়া খিচুড়ি ও বিটরুটের রায়তা।

তৃতীয় দিন

প্রাতরাশে: গাজর দিয়ে তৈরি কম তেলে ভাজা পরোটা, সব্জি।

দুপুরে: রুটি, নানা রকম সব্জি দিয়ে তরকারি ও কয়েকটি কাঠবাদাম।

রাতে: গাজর, বিন্‌স, আদা কুচি দিয়ে তৈরি স্যুপ, সঙ্গে এক কাপের মতো ভাত।

চতুর্থ দিন

সকালের জলখাবারে বেসন দিয়ে তৈরি চিল্লা ও পুদিনার চাটনি। এতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অনেকটাই ঢুকবে শরীরে।

দুপুরে: ভাত, শাকপাতার তরকারি ও কাঠবাদাম।

রাতে-: সব্জি দিয়ে তৈরি স্ট্যু, সঙ্গে একটা রুটি। স্ট্যু-র উপরে দারচিনির গুঁড়ো, গোলমরিচ ছড়িয়ে দিতে পারেন।

পঞ্চম দিন

প্রাতরাশে: রাগির উপমা, উপরে সামান্য ঘি দিতে পারেন। ভিটামিন বি ও জিঙ্কে ভরপুর রাগি সারা দিনের শক্তি জোগাবে, বাড়তি ক্যালোরিও জমতে দেবে না।

দুপুরে: রুটি, মুগ ডাল, সব্জি ও সঙ্গে গাজর-বিট দিয়ে তৈরি স্যালাড।

রাতে: নানা রকম ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি ও সঙ্গে রায়তা।

ষষ্ঠ দিন

সকালের জলখাবারে ড্রাই ফ্রুট্‌স, মেথি থেপলা ও কাঠবাদাম।

দুপুরে: বাজরার রুটি, পাঁচমেশালি সব্জি ও রায়তা। যদি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয়, তা হলে কাঠবাদাম-গুড় দিয়ে তৈরি মিষ্টি খেতে পারেন।

রাতে: বেসনের চিল্লা, পালং শাকের তরকারি ও রায়তা।

সপ্তম দিন

জলখাবারে: সব্জি দিয়ে তৈরি পোহা, সামান্য ঘি ও গোলমরিচ ছড়িয়ে খেতে পারেন।

দুপুরে: রুটি, মটরের সব্জি, কয়েকটি কাঠবাদাম।

রাতে: এক কাপ ভাতের সঙ্গে নানা সব্জি দিয়ে তৈরি ঝোল।

এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ডায়েট শরীর বুঝেই করা উচিত। তাই যে কোনও ডায়েট শুরু করার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement