মাথায় একটা আপেল এসে পড়লে নিউটন মাধ্যাকর্ষণ নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। তেমনই কত কিছু এভাবে আবিষ্কার হতে থাকে। কখনও প্রয়োজন আবার কখনও আগ্রহ নতুন কিছু ভাবতে শেখায়। বাজারজাত হয় নয়াদ্রব্য।জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে পারে এমন কিছু নিত্যসঙ্গীর উদ্ভাবন বিজ্ঞানীরা না করলে সমস্যায় পড়বেন আপনিই। জানেন সে সব কী কী? আজই সংগ্রহে রাখুন এগুলি।
ফিঙ্গার গার্ড: ছুরি দিয়ে তরকারি কাটতে গিয়ে অনেক সময়ে আঙুল কেটে যায়। এই সমস্যায় অনেকেই পড়েছেন। এছাড়াও পিঁয়াজ কাটার সময় হাতেও গন্ধ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আঙুলে একটা ফিঙ্গার গার্ড পরে নিলেই রক্তপাত বা হাতে গন্ধ এড়াতে পারবেন। প্রয়োজনীয় দ্রব্য তাই এর চাহিদাও বিশ্ব জুড়ে অনেকটাই।
বটল ওপেনার: ভাবুন টানটান উত্তেজনার কোনও ম্যাচ দেখছেন টিভিতে। সেই উত্তেজনা বাড়াতে সঙ্গে কোনও পানীয় খাবেন বলে ঠিক করেছেন। আর এই সময়েই পানীয়র বোতল আর খুলতে পারছেন না। তাই কিনে নিন বটল ওপেনার রিমোট। এই রিমোটেরর গায়েই লাগানো থাকে বটল ওপেনার।
সেল্ফ লকিং বেনডি বাইক: যাঁরা সাইকেলে করে যাতায়াত করেন তাঁদের জন্য এটা খুব প্রয়োজনীয়। সব সময় তালা বা চেন সঙ্গে নিয়ে বেরনো যায় না। কিন্তু তা বলে তো খোলা রাস্তায় সাইকেল ফেলে রাখা যায় না। পাছে চুরি হয়ে যায়। তাই কিনে নিন সেল্ফ লকিং বেনডি বাইক। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে এই জিনিস খুবই কার্যকরী।
সুটকেস স্কুটার: চেক ইনের ঝঞ্ঝাট এড়াতে বিমানবন্দরে সাধারণত অনেকেই সময়ের আগে পৌঁছে যান। কিন্তু পৌঁছে গিয়ে আর কিছুই করার থাকে না। একঘেয়েমি কাটাতে তাই একটি সুটকেস স্কুটার কিনে নিন। একঘেয়ে লাগলেই এই সুটকেস স্কুটারে চেপে ঘুরে বেড়ান।
রিওয়াইন্ড: ইয়ারফোনের তার জড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা কেমন, তা তো সকলেরই জানা। অনেক সময় এর প্রভাবে হেডফোন দ্রুত নষ্টও হয়ে যায়। কিন্তু এরও সমাধান রয়েছে। রিওয়াইন্ড কিনুন। দুটি ইয়ারফোনই আটকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এতে।
কুলেস্ট কুলার: জীবনকে সহজ করে তুলতে এটি একটি অসামান্য উদ্ভাবনা। বাংলার কাঠফাটা গরমে এই যন্ত্র নিয়ে বেরলে রক্ষা পাওয়া যেত। এর মধ্যে রয়েছে একটি কুলার, ফোন চার্জার, বটল ওপেনার এবং ব্লেন্ডার।
গ্লাস হোল্ডার প্লেট: এখন বেশির ভাগ অনুষ্ঠান বাড়িতে বাফে সিস্টেমে খাওয়া দাওয়া হয়। আর দাঁড়িয়ে খাওয়ার সময়ে হাতে প্লেট ও গ্লাস একসঙ্গে রাখা যায় না। এই ক্ষেত্রে গ্লাস হোল্ডার সমেতে প্লেট ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক জায়গায়। আপনিও এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতেই পারেন।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক: যেখানে সেখানে মোবাইলের চার্জ শেষ হলেও আর চিন্তা নেই। ব্যাগে রাখুন যে কোনও নামী সংস্থার পাওয়ার ব্যাঙ্ক। ট্রেনে-বাসে যেখানেই থাকুন, কোনও রকম সুইচের সাহায্য ছাড়াই ব্যাগের মধ্যে রেখে সহজেই চার্জ হয়ে যাবে মোবাইল। বাড়িতে চার্জ দিতে ভুলে গেলেও কোনও অসুবিধা নেই।
সেফ ওয়ালেট: কত লোকে মাঝে মাঝেইপার্স হারিয়ে ফেলেন। বাসে-ট্রেনে পকেটমারি হওয়ারও ভয় থাকে। কিন্তু এরও সমাধান রয়েছে। একটি সেফ ওয়ালেট কিনুন। এর মধ্যে ব্লুটুথ ডিভাইস লাগানো থাকে। এটি নিজের ফোনের সঙ্গে কানেক্ট করুন। ওয়ালেট আপনার থেকে দূরে গেলেই তা জানান দেবে।
মাল্টিপারপাস চেয়ার: এটিও দারুণ উদ্ভাবনা। এই দিয়ে যখন খুশি চেয়ার বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ইচ্ছে হলে মই বা টেবল বানিয়ে ফেলতে পারেন। অর্থাৎ আপনার যখন যেমন প্রয়োজন, এই বিষয়টিকে তেমন করেই ব্যবহার করতে পারেন আপনি। কাজেই রোজের কাজে অত্যন্ত দরকারি এটি।
হিটিং বাটার নাইফ: ডাইনিং টেবলে ব্রেকফাস্টের তাড়াহুড়ো, এ দিকে মাখন জমে আঁট হয়ে আছে। কিছুতেই পাউরুটির গায়ে বসানো যাচ্ছে না তাকে। অনেকেই গরম কোনও পাত্রের উপরে রেখে কাজ চালানোর মতো করতে চান তাকে। তাতে অবশ্য বেশি গলে যাওয়ার ভয় থাকে। এ সমস্যা এড়াতে তৈরি হয়েছে সেলফ হিটিং বাটার নাইফ। স্বয়ংক্রিয় ভাবে গরম হয়ে মাখন গলিয়ে দেবে মাত্রা অনুযায়ী।