আপাত দৃষ্টিতে অত্যন্ত নিরীহ অভ্যাস। কোনও ক্ষতি হওয়ার কথাই নেই যেন। কিন্তু জানেন কি অজান্তে এই নিরীহ অভ্যাসগুলোই আপনার অনেক বড় ক্ষতি করে দিচ্ছে? তেমনই কিছু অভ্যাসের কথা জেনে নিন:
যদি বারবার হাঁচি হয়, বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন অনেকে। তাই হাঁচি এলে কোনওক্রমে নাক-মুখে বন্ধ করে চাপার চেষ্টা করেন। হাঁচি সংক্রমণের ফল। হাঁচির সঙ্গে অনেক ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস বাইরে বেরিয়ে আসে।
হাঁচি চাপলে একদিকে যেমন সেই সমস্ত জীবাণু শরীরের ভিতরেই থেকে যায়, নাক-মুখ চাপা অবস্থায় হাঁচলে কানেও চাপ পড়ে। শ্রবণ যন্ত্রের ক্ষতি হয়। খাদ্যনালীরও ক্ষতি হতে পারে।
খাওয়ার পর টুথপিক ব্যবহারের অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার পরিষ্কার করা খুবই ভাল অভ্যাস। কিন্তু আপাত ভাল এই অভ্যাসটি আপনার মাড়ির ক্ষতি করে। মাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে দাঁতও।
পাশের ছবিটির মতো শুয়ে ঘুমলে কি আপনার সবচেয়ে গভীর ঘুম হয়? তা হলে সাবধান হয়ে যান। এই ভাবে শুয়ে ঘুমলে শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি হয়। ঘাড় বেঁকে থাকায় মেরুদণ্ডেরও সমস্যা দেখা দেয়।
কাছে পেন, পেনসিল যাই থাক, মুখে দিয়ে চিবোতে থাকেন? এই অভ্যাসও কিন্তু মুখে সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।
প্রকৃতির ডাকে ঠিকমতো সাড়া না দেওয়া। রাস্তাঘাটে যথেষ্ট শৌচাগার না থাকায় পুরুষদের থেকে মহিলাদের মধ্যে এই খারাপ অভ্যাসটা বেশি দেখা যায়। এই অভ্যাসও বড় অসুখে ফেলতে পারে আপনাকে। ইউরিনারি ব্লাডারের সংক্রমণ থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে।
মাঝে মধ্যেই কি মাথার যন্ত্রণা হয় এবং ঝিমিয়ে পড়েন? একটু ভেবে দেখুন তো গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করেন কি না? কারণ গরম জল মাথায় ঢাললে শুধু যে চুলের ক্ষতি হয়, তা নয়। এই সমস্যাতেও ভুগতে পারেন।
বই পড়ার সময় কখনও শুয়ে পড়বেন না। বসে পড়বেন। প্রয়োজনে পিঠে বালিশ নিয়ে হেলান দিতেও পারেন। শুয়ে পড়লে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। যার ফলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
মাঝেমধ্যেই কি পাশে বসা সহকর্মীর কানে ফিসফিস করেন? গোপন কথা গোপন রাখার অন্য রাস্তা বার করে ফেলুন তা হলে। কারণ, এতে কিন্তু অজান্তেই স্বরযন্ত্রের ক্ষতি করছেন।
টয়লেট সিটে বসে ফোনে কথা বলার অভ্যাসও অনেকের রয়েছে। এই অভ্যাসে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি এবং রক্তবাহিকাতেও চাপ সৃষ্টি করে।
নাক-কান এবং এর আশপাশটা খুব সেনসিটিভ। তাই নাক-কান কিছু দিয়ে পরিষ্কার করার সময় খুব সাবধান। আঘাত লেগে সংক্রমণ হতে পারে।