Breathing Analysers

দীপাবলিতে বাজির ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট বাড়ে, ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে কী কী জিনিস রাখতে পারেন?

অ্যালার্জি বা হাঁপানির ধাত থাকলে দূষিত বাতাসে শ্বাসকষ্ট আরও বাড়ে। বিশেষ করে সিওপিডি-র রোগীদের এই সময়ে কষ্ট বেশি। তাই ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেই হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২৯
Share:
These Gadgets to help in struggle with air pollution during this festive season

ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে কোন কোন গ্যাজেট রাখবেন? প্রতীকী ছবি।

আইনের যতই কড়াকড়ি থাক, কালীপুজো-দীপাবলির রাতে বাজির ধোঁয়ায় কলকাতার বাতাস দূষিত হয়ে ওঠে। তার সঙ্গে যানবাহনের ধোঁয়া তো রয়েছেই। ঘরের জানলা-দরজা সব সময়ে বন্ধ রাখা যায় না। তাই ঘরের ভিতরের বাতাসেও এই সময়ে ধূলিকণা, বিষাক্ত কণা মিশে থাকে। অ্যালার্জি বা হাঁপানির ধাত থাকলে, দূষিত বাতাসে শ্বাসকষ্ট আরও বাড়ে। বিশেষ করে সিওপিডি-র রোগীদের এই সময়ে কষ্ট বেশি। তাই ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেই হবে। তার জন্য কী কী গ্যাজেট রাখতে পারেন তা জেনে নিন।

Advertisement

এয়ার পিউরিফায়ার

ঘরের আকৃতি এবং আয়তনের কথা মাথায় রেখেই এয়ার পিউরিফায়ার কিনুন। বাজারে অনেক রকম মডেল পাওয়া যায়। আপনার ঘর যদি ছোটও হয় তা হলেও একটু বড় এবং কমপ্যাক্ট মডেল কেনাই ভাল। অনেক বেশি শোধন ক্ষমতাযুক্ত পিউরিফায়ার কেনাই এই সময় যুক্তিযু্ক্ত। এই সময় বাতাসে শ্বাসযোগ্য ভাসমান কণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার) পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। তাই পিউরিফায়ারের ফিল্টারের উপরে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। দেখতে হবে তা যেন ধুলো, ধোঁয়া, গন্ধ এবং অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে।

Advertisement

হিউমিডিফায়ার

৩০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় হিউমিডিফায়ার। ঘরের ভিতর আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করে। ঘরের ভিতরের বাতাস বিশুদ্ধ করে। ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখলে অক্সিজেনযুক্ত বাতাসের পরিমাণ বাড়ে।

ভেপোরাইজ়ার

ছোট ডিভাইস, কিন্তু খুবই কার্যকরী। এটি এক ধরনের হিউমিডিফায়ার। উষ্ণ ও বিশুদ্ধ হাতাস ছড়িয়ে দেয় ঘরে। গরম জল থেকে বেরোনো বাষ্প ঘরের আর্দ্রতা ধরে রাখে। খুব বেশি শ্বাসকষ্ট, কাশি বা হাঁপানির টান উঠলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

গাছ

‘এয়ার পিউরিফায়ার’ বা বাতাস পরিশোধক যন্ত্র বা হিউমিডিফায়ার যদি ঘরে রাখতে না পারেন, তা হলে ঘরের ভিতরের দূষিত বাতাস পরিস্রুত করার কাজে লাগতে পারে কয়েকটি গাছ। মানিপ্ল্যান্ট, ইংলিশ আইভি, স্প্যাথিফাইলাম বা পিস লিলি, ফ্ল্যামিংগো লিলি, বাটারফ্লাই পাম— এই জাতীয় গাছ ঘরের ভিতরের বাতাস থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড ছেঁকে নিয়ে বিশুদ্ধ অক্সিজেন দিতে পারে।

এয়ার কোয়ালিটি সেন্সর

এই যন্ত্র ঘরের ভিতরের বাতাসের কী পরিমাণ দূষিত পদার্থ আছে তার পরিমাপ বলতে পারে। বাতাসে কতটা ধূলিকণা, কার্বন-ডাই অক্সাইড বা কার্বন মনোক্সাইড আছে তার মাত্রা নির্ধারণ করতে পারে। পাশাপাশি ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণও জানাতে পারে। এই যন্ত্র ঘরে রাখলে ভিতরের বাতাস দূষিত হচ্ছে কি না বুঝে, সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement