দুধে অ্যালার্জি হলে ক্য়ালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে খেতে হবে অন্য খাবার। ছবি-শাটারস্টক থেকে নেওয়া।
ক্যালসিয়াম খেলে মজবুত থাকবে হাড়। এ কথা যেমন চিরসত্য, আবার দুধ খেলেই শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের অভাব অনেকটাই মিটে যায় এ কথাও শুনে আসছি আমরা। ১০০ গ্রাম দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ প্রায় ১২৫ মিলিগ্রাম। তবে দুধ কিংবা দুগ্ধজাতীয় প্রোডাক্ট অনেকেরই পছন্দ নয়। কারও ক্ষেত্রে দুধে অ্যালার্জি। সে ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম আসবে কোথা থেকে?
দুধ খেলেই অ্যাসিডিটি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয় কারও। সাধারণত শরীরে ল্যাকটোজ এনজাইম কম থাকলে দুধে অ্যালার্জি হয়। এ ছাড়াও গরুর দুধে আলফা এস ওয়ান ক্যাসেইন প্রোটিন থাকে যা অ্যালার্জির কারণ। মূলত এই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এবং মিল্ক প্রোটিন অ্যালার্জি, এই দুই প্রবণতা থেকেই এমনটা হয়।
পশুর দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যে অ্যালার্জি থাকলে বিকল্প হিসেবে আরও নানারকম খাবার রয়েছে। কিন্তু ভরপুর ক্যালসিয়াম কি তাতে মিলবে? ক্যালসিয়াম পেতে দুধের বিকল্প হিসেবে কী বেছে নেওয়া যেতে পারে?
আরও পড়ুন: এই গাছের শিকড়েই জব্দ হবে করোনা?
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিলেন অরিন্দম বিশ্বাস। মেডিসিনের এই চিকিৎসক বলেন, “টোফু কিংবা সয়া মিল্ক খাওয়া যেতে পারে। তবে সেগুলো বাদ দিলেও রোজের ডায়েটে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে শাক-সব্জি খেলে হাড়ের শক্তিবৃদ্ধি হয়। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটে।”
আরও পড়ুন: করোনা আবহে 'ইমিউনিটি' বাড়াতে দূরে থাকুক চিনি
দুধের বিকল্প হিসেবে ভরপুর ক্যালসিয়াম পেতে ডায়েটে রাখতে পারেন রাগি। রাগির আটার রুটিও খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও পুষ্টিবিজ্ঞানী সোমা চক্রবর্তী আরও বেশ কয়েকটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের নিদান দিয়েছেন।
•কাঁচা ছোলা এবং মাস কলাইয়ের ডাল রোজের রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঁচা ছোলা রোজ সকালে ভিজিয়ে খেতে পারেন।
•গোটা মুগ অর্থাৎ তড়কার ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।রাজমা এবং মুসুর ডালেও রয়েছে ভরপুর ক্যালসিয়াম।
•নটে শাক, মেথি শাক এবং ফুলকপির পাতার যে শাক, রোজের ডায়েটে সেই শাক রাখলেও মিটবে ক্যালসিয়ামের চাহিদা।
•সজনে শাক, কচুর শাক, কারিপাতাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।
যাঁরা শাক খেতেও পছন্দ করেন না, তাঁরা কী করবেন?
সে ক্ষেত্রে শুকনো নারকেল, কাঠবাদাম, তিল এগুলি রোজকার খাবারে রাখতে হবে।