খাবারের প্লেটে নজর দিলেই মেদ ঝরানোর পথে অনেকটা এগিয়ে থাকা যায়। ছবি: আইস্টক।
ওজন বশে রাখতে ডায়েট ও ওজন কমানোর দিকেই সকলের নজর থাকে। সে সব নিয়মের সঙ্গে আরও কিছু কৌশল রপ্ত করতে পারলে মেদ ঝরানোর কাজ অনেকটা সহজ হয়।
কথায় বলে, ‘চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম’। মেদ ঝরানোর অভ্যাসটাও অনেকটাই তাই, বাড়ি থেকেই শুরু হোক সেই পাঠ।
অন্যান্য কৌশলের মধ্যে খাওয়ার প্রবৃত্তি কমানো অন্যতম। এই অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে অনেকটা ওজন কমবে। সেটা কী ভাবে সম্ভব? রইল তেমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: সংসার খরচে আনুন এই সব ছোট্ট পরিবর্তন, সাশ্রয় হবে সহজেই
কাঁটা চামচ ও চামচ দু’টি দিয়েই খাওয়া যায় এমন খাবারের জন্য কাঁটা চামচ ব্যবহার করুন। গঠনগত কারণে চামচের তুলনায় কাঁটা চামচে খাবার কম পরিমাণে ওঠে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, কাঁটা চামচে খেলে কম পরিমাণে খাবার খাওয়া হয়। খাওয়ার আগে অনেকটা জল খান। তাতে খেতে বসে অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলার সুযোগ মিলবে না। রেস্তরাঁয় অর্ডার করার সময় বা বাড়িতেও খাবাব বাড়ার সময় অল্প করেই নিন প্রথমে। তা শেষ হওয়ার পরেও খিদে থাকলে তবেই খান। খাবারের প্লেটের আয়তন ছোট করুন। কম খাবার ধরে এমন প্লেটে খাবার খেলে স্বাভাবিক ভাবেই কম পরিমাণ খাবার খেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, বরং শরীরের নানা ব্যথা-বেদনা জব্দ করুন এই সব কৌশলে
খাবারের শেষ পাতে ডেজার্ট খাওয়ার ইচ্ছেয় রাশ টানুন। সপ্তাহে এক দিনের জন্য বজায় রাখুন সেই শখ। এতে ডেজার্ট শরীরের যা যা ক্ষতি করে তা থেকেও শরীর বাঁচবে আবার মিষ্টি থেকে হওয়া ফ্যাটও আটকেনো যাবে। অনেক ক্ষণ খিদে চেপে রাখলেই খাওয়ার সময় বেশি খেয়ে ফেলার সুযোগ থাকে। তাই তিন-চার ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প করে খেয়ে পেট ভরিয়ে রাখুন। রাতে আর স্ন্যাক্স নয়। ঘুমনোর তিন ঘণ্টা আগেই খাওয়া সেরে ফেলুন। এতে শরীর হজম করার সুযোগ পাবে। খাবার কম খেতে হবে। তবে কখনও ভুলেও কোনও মিল বাদ দেবেন না। বরং মিল বাদ দিলে খালি পেটে থাকায় ওজন বাড়ে হু হু করে। কাজেই, খেতে হবে এবং তা পরিমিত হারে।