কিছু কিছু দেশে ২৫ ডিসেম্বর নয়, বড়দিন উদ্যাপন করা হয় জানুয়ারি মাসের ৬ কিংবা ৭ তারিখে। ছবি: সংগৃহীত
বড়দিন বলতেই অনেকে এক কথায় বোঝেন ২৫ ডিসেম্বর। দেশে-বিদেশে এই দিনই জিশুর জন্মদিন পালন করেন বহু মানুষ। কিন্তু জানেন কি, কিছু কিছু দেশে ২৫ ডিসেম্বর নয়, বড়দিন উদ্যাপন করা হয় জানুয়ারি মাসের ৬ কিংবা ৭ তারিখে?
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে অর্থোডক্স খ্রিস্টান অংশের মানুষরা সাধারণ ভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলেন। ছবি: রয়টার্স
মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ২৫ ডিসেম্বরের আনুষ্ঠানিক তারিখের বদলে ১৩ দিন পরে বড়দিন উদ্যাপন করার চল রয়েছে। এই বিষয়টির নেপথ্যে রয়েছে ভিন্ন ক্যালেন্ডার। বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেন। কিন্তু এই দেশগুলিতে বহু মানুষ জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেন। তালিকায় রয়েছে বেলারুশ, মিশর, জর্জিয়া, ইথিওপিয়া, কাজাখস্তান, সার্বিয়ার মতো দেশ। অন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করার পিছনেও রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে অর্থোডক্স খ্রিস্টান নামের একটি অংশ রয়েছে। এই অংশের মানুষরা সাধারণ ভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলেন।
রাশিয়ার বহু অঞ্চলেও ৭ জানুয়ারি বড়দিন উদ্যাপনের চল রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার বহু অঞ্চলেও ৭ জানুয়ারি বড়দিন উদ্যাপনের চল রয়েছে। ইটালির বিভিন্ন অংশে ৬ জানুয়ারি বড়দিনের উৎসব পালন করা হয়। অনেকে মনে করেন, জিশুর জন্মের ১২ দিনের মাথায় ৩ জন জ্ঞানী ব্যক্তি তাঁকে দেখতে আসেন ও তিনটি উপহার দিয়ে যান। সেই কথা মাথায় রেখেই এই প্রথা প্রচলিত রয়েছে সে দেশে।