করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বেড়েছে জরায়ু সংলগ্ন পেশির সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে সংক্রমিত মহিলাদের মধ্যে বেড়েছে এনডোমেট্রিয়োসিস জাতীয় সমস্যার পরিমাণ। প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এই সমস্যা। এমনই বলছে হালের সমীক্ষা।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এমনই একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে এক সংবাদমাধ্যমের তরফে। দেখা গিয়েছে, এনডোমেট্রিয়োসিসের চিকিৎসার জন্য যে সংখ্যায় মহিলারা চিকিৎসকের কাছে যেতেন, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের পরে তার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বেড়ে গিয়েছে এই সমস্যা সমাধানে অস্ত্রোপচারের সংখ্যাও।
কী এই এনডোমেট্রিয়োসিস?
মূলত জরায়ুর ভিতরে এনডোমেট্রিয়াম কলা (টিস্যু) থাকে। কিন্তু কোনও কারণে সেই ধরনের টিস্যু যদি জরায়ুর বাইরেও তৈরি হয়ে যায়, তা হলে সেটি চরম ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় শরীরে।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের পর থেকেই অল্পবয়সি মহিলাদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যার প্রবণতা বে়ড়েছে বলে দাবি মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকদের একাংশের। তাঁরা জানিয়েছেন, এনডোমেট্রিয়োসিস হলে যে ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, সেই ধরনের উপসর্গ নিয়ে প্রচুর মহিলা হাজির হচ্ছেন তাঁদের কাছে।
কী কী উপসর্গ দেখা যাচ্ছে?
• ঋতুস্রাবের সময়ে তীব্র ব্যথা
• তলপেটে যন্ত্রণা
• পায়ে ব্যথা
• যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে গলে তীব্র ব্যথা অনুভব করা
• কোষ্টকাঠিন্য
• কারও ক্ষেত্রে আবার আন্ত্রিকের মতো সমস্যা
• ব্যথার কারণে মূত্রত্যাগ করতে সমস্যা
• মলত্যাগ করতে গেলে ব্যথা
• মলের সঙ্গে রক্তপাত
বাড়ছে এনডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যা
মুম্বইয়ের চিকিৎসক অভিষেক মাঙ্গেশিকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘ঋতুমতি মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা মোটেই বিরল নয়। কিন্তু সেই সংখ্যাটা বিপুল পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে করোনাকালে। বহু রোগীর অস্ত্রোপচারও করতে হচ্ছে।’’
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় থেকে নতুন অনেকগুলি উপসর্গের কথা উঠে এসেছে। সেই তালিকায় এ বার যুক্ত হচ্ছে এনডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যাও। আগামী দিনে এ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, এই বিষয়টা নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা দরকার। না হলে কষ্ট বাড়বে।