বিমানে কফি অর্ডার দেবেন না কেন? ছবি: সংগৃহীত।
যাত্রাপথ দীর্ঘ হলে বিমানের টিকিটের সঙ্গে খাবার, পানীয়ের ব্যবস্থা করাই থাকে। বিমান ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা দিয়ে দেওয়া যাত্রীদের। কিন্তু অল্প সময়ের জন্য কোথাও গেলে সব বিমানযাত্রায় সেই ব্যবস্থা থাকে না। তবে বিমানসেবিকাদের কাছে চাইলেই চা, কফি পাওয়া যায়। বিমানযাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বলেন, বিমানে কফি খাওয়ার পরই তাঁদের পেটের সমস্যা হয়। পেট গুড়গুড় করে। ক্যাফিন জাতীয় পানীয় খেলে অনেকেরই পেটের সমস্যা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে দোষ আসলে কার, তা স্পষ্ট করলেন বিমানসংস্থার এক কর্মী। বিমানশিল্পের নোংরা রহস্য ফাঁস করার সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা মাত্রই মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে।
বিমানযাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বলেন, বিমানে কফি খাওয়ার পরই তাঁদের পেটের সমস্যা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ওই ভিডিয়োতে বিমানকর্মী বলেন, “বিমানে উঠে কফির অর্ডার করা মাত্রই বিমানসেবিকারা তা যাত্রীদের সামনে হাজির করেন। কিন্তু সমস্যা হল, সেই পানীয় খেয়ে অনেকেরই পেটের সমস্যা হয়। তার কারণ ক্যাফিন নয়। যে পাত্রটিতে কফি তৈরি করা হয়, অনেক সময়েই তা পরিষ্কার করা হয় না। কফি তৈরিতে দিনের পর দিন ওই পাত্র ব্যবহার করা হলে সেখান থেকে পেটে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।” এখানেই শেষ নয়। বিমানের শৌচাগার, আসনের পিছনে যে সিটপকেট থাকে, তা-ও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলেই জানিয়েছেন তিনি। ব্যবহার করা টিস্যু, বাচ্চাদের ডায়াপার, চকোলেটের মোড়ক— কত কী যে সেখানে পাওয়া যায়, তা ধারণার বাইরে।
বিমানে কফি খাওয়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত।
এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া মাত্রই বিমানে কফি খাওয়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। কেউ লিখেছেন, “এই সত্য জানার পর, আমি আর কখনওই বিমানে উঠে কোনও পানীয় খেতে পারব না।”