ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছুঁই ছুঁই এই সারমেয়র। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যম ইদানীং আয়ের অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে। স্থায়ী চাকরি ছেড়ে অনেকেই এই মাধ্যমকে কেরিয়ার হিসাবে গ্রহণ করেছেন। দৈনন্দিন জীবনে যে তা খুব একটা প্রভাব ফেলে তা-ও নয়। সমীক্ষা বলছে, ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ নামক পেশার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের মাসিক আয় কয়েক হাজার টাকা। বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা লাখেও পৌঁছে যায়। কিন্তু তাই বলে ৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। আয় শুনে বিস্মিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে চমকের শেষ নয় এখানেই। এই আয় কিন্তু কোনও মানুষের নয়। গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির কুকুর ‘টাকার বাডজিন’ মাসে এই পরিমাণ আয় করে।
‘প্রিন্ট পেট মেমোরিজ়’ নামের এক সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, ‘টাকার বুডজিন’ এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের একজন। সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয়তার দৌড়ে অনেক তাবড় ব্যক্তিদের পিছনে ফেলে দিয়েছে এই সারমেয়। ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছুঁই ছুঁই।
সারমেয়র বয়স যখন দুই, তখন থেকেই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মিশিগানের বাসিন্দা কোর্টনি এবং তাঁর স্বামী মাইক হলেন বাডজিনের মালিক। পোষ্যের ৩-৮টি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তাঁরা। এতে শুধু ইনস্টাগ্রাম থেকেই প্রায় ২০ হাজার ডলার আয় হয়। ইউটিউব থেকে রোজগারের পরিমাণ আরও বেশি। এত টাকা কোন খাতে খরচ করবেন নিজেরাই বুঝতে পারেন না। কয়েক বছর আগেও সংসারের অবস্থা এতটা স্বচ্ছল ছিল না। কোর্টনি সাফাইকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। আর মাইক একটি বেসরকারি ফার্মে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালে বাডজিনকে বাড়িতে আনেন তাঁরা। পরিকল্পনামাফিক একের পর এক পোষ্যের ভি়ডিয়ো করে তা পোস্ট করতে থাকেন। কয়েক মাসেই তাঁরা বুঝে যান, আগামী দিনগুলি কতটা বিলাসিতায় কাটতে চলেছে। তাই দু’জনেই চাকরি ছেড়ে বাডজিনের দেখাশোনা শুরু করেন।