স্কুলের পরীক্ষায় ভাল ফল, পড়াশোনায় মনযোগ, শিশুর মানসিক বিকাশ কেমন হবে তা নির্ভর করে শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থিরতা ও মানসিক সুরক্ষার ওপর। কানাডার নোভা স্কটিয়ার সেইন্টে-অ্যানে ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির অধ্যাপক ক্যারোলিন ফিজপ্যাট্রিক বলেনে, দেখা গিয়েছে যেই শিশুরা মানসিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তারা পড়াশোনায় মন দিতে পারে না। এমনকী, কিছু কিছু শিশু ও টিনএজারদের মধ্যে অবসাদে ভোগার লক্ষণও দেখা যায়। এরা দুঃখী থাকে। জীবনে কিছুই উপভোগ করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষায় সাফল্য আসাও অনেক কঠিন হয়ে যায়।
এই বিষয়ে কুবেক লঙ্গিটিউডিনাল স্টাডি অব চাইল্ড ডেভলপমেন্টের তথ্য ব্যবহার করেন গবেষকরা। ১৯৯৮ সালে পাঁচ মাস বয়সী ২,১২০ জন শিশুকে নিয়ে শুরু হয় সমীক্ষা। দেখা গিয়েছে স্কুলের পরিবেশে কোনও কারণে অসুরক্ষিত অনুভব করলে, হিংসার শিকার হলে শিশুরা পড়াশোনায় মন দিতে পারে না, প্রভাব পড়ে তাদের আচার ব্যবহারেও। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে আগ্রাসী মনোভাব গড়ে ওঠার উদাহরণও দেখা গিয়েছে।
আবার অন্য দিকে ওটাওয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্যারোলিন কোট-লুসার জানান, আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে যেই পড়ুয়ারা অত্যন্ত দারিদ্র ও অসুস্থ সামাজিক পরিবেশে বড় হয়, তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা, অবসাদে ভোগার প্রবণতা দেখা যায়। যা পড়াশোনায় মনযোগ ও নতুন কিছু শেখার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জার্নাল অব অ্যাডোলেসেন্স হেলথে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার ফল।
আরও পড়ুন: আইফোন ৭ হতে চলেছে সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফ?