যেহেতু এটা জৈব পদার্থ তাই বিষাক্তও নয়।
বাড়ির ইলেকট্রিকের বিল খুব বেশি আসছে? অনেক চেষ্টা করেও ঠিক আয়ত্তে রাখতে পারছেন না বিল? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আর মাত্র কয়েক বছর এই অতিরিক্ত বিলের বোঝা বইতে হবে আপনাকে। ভবিষ্যতে নাকি নিজের বাড়িতেই আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন ইলেকট্রিসিটি। আর তা সম্ভব হবে বাড়িতেই, একেবারে হাতের মুঠোয় থাকা জিনিস দিয়েই!
আয়ারল্যান্ডের লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, আমাদের চোখের জল, লালা, স্তন্য ও ডিমের সাদা অংশের মধ্যে রয়েছে এমন এক প্রোটিন যা ইলেকট্রিসিটি উত্পাদন করার ক্ষমতা রাখে। যা দিয়ে ভবিষ্যতে ডাক্তারি যন্ত্রপাতি চালানো যাবে বলেও আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। উত্পাদনের পরিমাণ বাড়াতে পারলে আরও অনেক কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ‘চটজলদি’র ফাঁদে না
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্রোটিনের মধ্যে থাকা লাইসোজাইম ক্রিস্টালে চাপ প্রয়োগ করে বিদ্যুত্ উত্পাদন করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতেই কোয়ার্টজ ক্রিস্টালে চাপ প্রয়োগ করে মেকানিক্যাল এনার্জি ইলেকট্রিক এনার্জিতে পরিণত করা হয়। যে কোনও পদার্থের এই ধর্মকে বলা হয় পিজোইলেকট্রিসিটি।
চিকিত্সা বিজ্ঞানে ব্যবহৃত রেজোনেটর, মোবাইল ফোনের ভাইব্রেটর, আলট্রাসাউন্ড ইমেজিং-এ এই কোয়ার্টজ ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের হাড়, ট্যান্ডন, কাঠের মধ্যে পিজোইলেকট্রিসিটি ধর্ম রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: আমন্ড বেশি খাওয়ার ৫ সাইড এফেক্ট
যদিও ঠিক কতটা পরিমাণ বিদ্যুত্ এই পদ্ধতিতে উত্পাদন করা যেতে পারে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেননি লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এমি স্টেপলটন। তিনি বলেন, লাইসোজাইম ক্রিস্টালের পিজোইলেকট্রিসিটি ধর্ম বেশ জোরালো। প্রায় কোয়ার্টজের কাছাকাছি। যেহেতু এটা জৈব পদার্থ তাই বিষাক্তও নয়। ফলে চিকিত্সা বিজ্ঞানে অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েই ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে লাইসোজাইম ক্রিস্টাল উত্পন্ন করাও বিশেষ কষ্টসাধ্য নয়।
অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।