শীতে চুল সুস্থ রাখতে মেনে চলুন বিশেষ ক’টি নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক।
শীতে চুলের রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা নতুন নয়। শীতে এমনিতেই ঠান্ডা লাগার ভয়ে শ্যাম্পু করার মাত্রা কমে যায়। ফলে মাথার ত্বকে জমে থাকে বাড়তি তেল। খুশকি তাই শীতের অন্যতম সমস্যা। এ দিকে শীতে পার্টি বা নিমন্ত্রণ বেড়ে যাওয়ায় চুলের কেতা করতে ঘন ঘন ড্রায়ার, কার্ল ইত্যাদি যন্ত্রের ব্যবহার প্রায়ই করতে হয়। সব মিলিয়ে চুল রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে সহজে।
তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতে কম স্যাম্পু করলেও চুল মোলায়েম ও স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব। রইল সে সবের হদিশ।
শ্যাম্পুর আগে তেল: সারা বছর কম তেল মাখলেও শীতে তেল মাখায় যেন কোনও অনীহা না থাকে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এমনিই এই সময় চুলের একটু বাড়তি পরিচর্যা লাগে। তেলই হতে পারে সেই উপকরণ। সপ্তাহে তিন দিন নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল গরম করে মেখে শোওয়ার নিয়ম তো মানতে হবে বটেই, এ ছাড়াও শ্যাম্পু করার আগে ঈষদুষ্ণ নারকেল তেল মালিশ করুন চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর। এ বার একটি তোয়ালে গরম জলে জড়িয়ে চুলে জড়িয়ে রাখুন আলতো করে। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন চুল।
শ্যাম্পুতে জল: শ্যাম্পু করার আগে তাতে জল মিশিয়ে তা পাতলা করে নিন। হাতের তালুতে সেই শ্যাম্পু ঘষে ফেনা তৈরি করে নিন। তার পর তা মাখুন চুলে। ঠান্ডা জলে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে ফের ধুয়ে নিন।
সেরাম: চুলে ব্যবহার করুন হেয়ার সেরাম। প্রতি বার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার লাগানোর পর চুল শুকনো করে হেয়ার সেরাম লাগিয়ে রাখুন। এতে চুলের ঔজ্জ্বল্য যেমন বাড়বে, তেমনই নরম থাকবে চুল।
স্টাইলিংয়ের যন্ত্র: চুল শুকোনোর ড্রায়ার, কার্লিং টুল, স্ট্রেটনার এগুলো যত এড়িয়ে চলবেন চুলের স্বাস্থ্য ততই ভাল থাকবে। প্রাকৃতিক ভাবেই চুল শুকোন। পার্টি বা নিমন্ত্রণ থাকলেও ঘন ঘন কার্লিং বা অন্য স্টাইল না করে কখনও কখনও সাধারণ উপায়েও চুলের কেতা করতে।
সিল্কের ব্যবহার: শীতের দিনে বশে না থাকলে সিল্কের স্কার্ফ জড়িয়ে নিন তাতে। সিল্ক যেহেতু মোলায়েম ফ্যাব্রিক, তাই এর ঘর্ষণে চুল ভাঙার ভয় থাকে না। সিল্কের স্কার্ফে চুলে জড়িয়ে রাখলে বাইরের ধুলোবালিও ঠাঁই পায় না চুলে। তাই কমে রুক্ষতা।