ঘুমের ওষুধের কারণে কোন কোন সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত
নানা কারণে ঘুম কমে যেতে পারে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস— ঘুম কমে যাওয়ার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। এমন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অনেকেই ঘুমের ওষুধের সাহায্য নেন। ‘কয়েক দিন ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোব, তার পরে বন্ধ করে দেব’— এমন একটা মানসিকতা নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু হয়। কিন্তু তার পরে সেটাই আসক্তির জায়গায় পৌঁছে যায়। তখন আর ওষুধ না খেলে ঘুম আসে না।
কিন্তু ঘুমের ওষুধের নানা রমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সকলের ক্ষেত্রে এক রকম না হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর দিকে যায়। যা ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কোন কোন লক্ষণ দেখলে ঘুমের ওষুধ বন্ধ করবেন? জেনে নিন।
• ‘এভরিডে হেল্থ’ নামক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পত্রিকায় সম্প্রতি ছাপা হয়েছে ঘুমের ওষুধ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষাপত্র। সেখানে বলা হয়েছে, ওষুধে থাকা যে রাসায়নিকের কারণে ঘুম আসে, তা সকালে ঘুম ভাঙার পরেও শরীরে অনেক ক্ষণ থেকে যায়। তার প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপর। অনেকের ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধের কারণে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তেমন হলে এই ধরনের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
• ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমান? আপনার পাশে যিনি ঘুমান, তিনি কি কখনও বলেছেন, ঘুমের মধ্যে আপনি কথা বলেন? এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ওষুধ ছাড়তে হবে। এ ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেকেই ঘুমের মধ্যে হাঁটেন। এমন লক্ষণ দেখলে ছাড়তে হবে ওষুধটি।
• সারা দিন গলা শুকিয়ে থাকছে? ঘুমের ওষুধের কারণে হতে পারে, তা হলে ছাড়তে হবে এই অভ্যাস।
• নিত্য অ্যাসিডির সমস্যা লেগে আছে? কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনও পেটের গণ্ডগোল? শরীরও দুর্বল? অন্য সমস্যার তুলনায় এটা মারাত্মক কিছু নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন এমন অবস্থা চললে অন্ত্রের ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। পেটের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পারমর্শ নিন।
ঘুমের ওষুধ কখন ছাড়তেই হবে?
কী ভাবে ছাড়বেন ঘুমের ওষুধ?
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ ছাড়া ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। রোজ একই সময়ে শুতে যাওয়া, ঘুমের আগে ফোন না দেখা, রাতে মদ্যপান বা কফি থেকে দূরে থাকা। এমন কয়েকটি সাধারণ অভ্যাসই কাটিয়ে দিতে পারে ঘুমের সমস্যা।