করোনার নতুন ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত কোভিড আক্রান্তেরা ১২ থেকে ১৪ দিন পর পরীক্ষা করলে নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে যান। কিন্তু তার মানেই কি তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন? অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তেমনটা নয়। নানা রকম উপসর্গ থেকেই যায় দীর্ঘদিন। বিশ্বজুড়ে ডাক্তারা এটাকে বলছেন ‘লং কোভিড’। রোজই নতুন নতুন উপসর্গের জানাচ্ছেন কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন এমন মানুষ। কোন উপসর্গগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, জেনে নিন।
ক্লান্তি
নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন কোভিডের রেশ থেকে যায়। বেশির ভাগ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের ক্লান্তি রয়ে গিয়েছে বহুদিন। রোজকার ছোটখাটো কাজ করেও তাঁরা হাঁপিয়ে উঠছেন। এমনও হয়েছে যে অফিসের কাজ করতে পারছেন না ঠিক করে। এই উপসর্গ দীর্ঘকালীন। কারও হয়ত এক মাস রয়েছে, আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, ৬ মাস পরও তাঁর ক্লান্তিভাব কাটেনি।
শ্বাসকষ্ট
অনেকেই জানিয়েছেন তাঁদের শ্বাসকষ্ট রয়ে গিয়েছে বহুদিন। এমনও হয়েছে যে ঘরের মধ্যে হাঁটতে গিয়েও হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। দশ মিটার হাঁটার পর শ্বাস নেওয়ার জন্য বিরতি নিতে হচ্ছে। এই উপসর্গও দীর্ঘকালীন। বহু মানুষ যাঁরা কর্মসূত্রে অন্য শহরে থাকতেন, তাঁদের এই কারণে ফের পরিবারের কাছে ফিরে আসতে হয়েছে, যাতে নিত্যদিনের কাজে সাহায্য পান।
জ্বর
বহু মানুষ জানিয়েছেন তাঁদের নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার বহুদিন পরও রোজ জ্বর আসে। হয়তো সেটা অল্প জ্বর, কিংবা জ্বর-জ্বর ভাব। এমনও হয়েছে যে পরিবারের লোক বা সহকর্মীরা এটা বিশ্বাস করেননি। তাচ্ছিল্য করেছেন। কারণ সব সময় এই জ্বর মাপলে বোঝা যায় না। তবে ডাক্তাররা এটায় গুরুত্ব দিচ্ছেন এখন।
পেটের সমস্যা
হজমশক্তি কমিয়ে দেয় কোভিড। এবং এর রেশ থাকে বহুদিন। পেট খারাপ লেগেই থাকবে। বাড়ির সাধারণ রান্না খেয়েও হজম হচ্ছে না, জানিয়েছেন বহু মানুষ।
ইনসমনিয়া
রাতে ঘুম হচ্ছে না, এমন অভিযোগ অনেক মানুষের। এই সমস্যা থেকে যেতে পারে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত।
ভুলভ্রান্তি
কাজে ভুল হয়ে যাচ্ছে, বাজারে গিয়ে মনে করতে পারছেন কী কী কিনতে এসেছিলেন, সারাক্ষণ অন্যমনস্ক মন— এই ধরনের নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন মানুষ। কিছু কিছু মানুষ এই সমস্যায় জজ্বরিত হয়ে পেশাবদলও করতে বাধ্য হয়েছেন।