দাঁত থেকে রক্ত পড়ার সমস্যাকে অবহেলা নয়। ছবি: শাটারস্টক।
পোশাকি নাম ‘জিনজিভাইটিস’। সহজ করে বললে মাড়ি থেকে রক্তপাত। অনেকেই এই অসুখের সঙ্গে পরিচিত। এই সমস্যায় জেরবারও কমবেশি অনেকেই। চিকিৎসকরা একেও লাইফস্টাইল ডিজিজের আওতাতেই ফেলছেন আজকাল।
খুব সামান্য খোঁচা লাগলে অথবা অকারণেই মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে অনেকেরই। কিন্তু কেন হয় এই রোগ, জানেন না অনেকেই। কেবল একটা আবছা ধারণা আছে, দাঁতের জোর বা মাড়ির জোর আলগা হয়ে গেলে বা সেখানকার পেশী আঘাতপ্রাপ্ত হলে বুঝি এমনটা হয়! কিন্তু জানেন কি, এই সাধারণ রোগটিও ডেকে আনতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবিটিস বা ফুসফুসের অসুখ। এমনটাই বলছেন আমেরিকার ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অব ডেন্টাল অ্যান্ড ক্রানিওফেসিয়াল রিসার্চের গবেষকরা।
তাঁদের মতকে মেনে নিচ্ছেন এই শহরের দন্ত বিশেষজ্ঞরাও। দাঁতের যত্নে অবহেলা বা দাঁত থেকে রক্ত পড়ার মতো বিষয়কে সহজ করে দেখতে নারাজ তাঁরাও। তবে এই অসুখের কারণ হিসাবে বেশ কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রাখতে বলছেন তাঁরা। জানেন কি কেন রক্তপাত হয় মাড়ি থেকে?
আরও পড়ুন: প্যাচপেচে গরমে শরীরচর্চার নামে ভয়? মেদ ঝরান এই সব মজাদার ব্যায়ামে
প্লাক নামক এক ধরনের জীবাণুর প্রভাবে এই সমস্যা হতে পারে। মাড়ির টিস্যুগুলির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে ধূপমান। কাজেই ধূমপায়ীদের আকছার এই সমস্যা হয়। গর্ভবতী মেয়েরা হরমোনের ওঠানামার কারণে এই রোগের স্বীকার হন। ভিটামিন সি ও জলের অভাব মাড়ির সমস্যা তৈরি করে। অনেকে বংশগত ভাবে এই রোগের শিকার হন।
আরও পড়ুন: শিশুর আঁকিবুঁকিতে দেওয়াল নোংরা হচ্ছে? সমাধান রয়েছে এ সব উপায়ে
গ্রিন টি মাড়ির জীবানু তাড়াতে সক্ষম।
চিকিৎসকদের মতে, কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই রুখে দেওয়া যায় এই রোগের হানা। রইল তেমনই কিছু দাওয়াই—
প্রতি দিন উষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে বার তিনেক কুলকুচি করলে সাময়িক উপশম পাওয়া যায়। ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতি দিনের ডায়েটে। সামান্য উষ্ণ জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে থকথকে করে রাখুন। এটি মুখের ভিতরের অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করবে । গ্রিন টি মাড়ির জীবানু তাড়ায় সহজেই। কাজেই গ্রিন টি ভেজানো জল দিয়ে কুলকুচি করলে ফল মিলবে।
তবে এগুলি সবই প্রাথমিক পথ্য। ঠিক কোন কারণে সমস্যা হচ্ছে, কত দূর গড়াতে পারে রোগ সেগুলি জানা যাবে চিকিৎসকের কাছে গেলেই। কাজেই প্রাথমিক দাওয়াইয়ে কাজ না হলে রোগ পুষে না রেখে তাঁর দ্বারস্থ হওয়াই ভাল।