How to get Success

পরিশ্রম সত্ত্বেও অফিসে সাফল্য অধরা? কোন পাঁচ কৌশল মেনে চললে বাহবা কুড়োবেন আপনিই

পরিশ্রম আপনি করছেন, কিন্তু বাহবা কুড়োচ্ছেন আপনারই কোনও এক সহকর্মী। আর আপনি মাথাগরম করে, মেজাজ হারিয়ে কাজের ক্ষতি করছেন। ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতাতেও। কী করলে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৭
Share:

সফল হওয়ার সহজ কিছু টোটকা বলে দিলেন মনোবিদেরা। ছবি: ফ্রিপিক।

দিনভর পরিশ্রম করছেন। সঠিক সময়ে লক্ষ্যও পূরণ করছেন। বসের শত বকুনিতেও আপনার পরিশ্রমে কোনও খামতি নেই। কিন্তু তার পরেও দেখছেন, সাফল্য যেন অধরাই থেকে যাচ্ছে। পরিশ্রম আপনি করছেন, কিন্তু বাহবা কুড়োচ্ছেন আপনারই কোনও এক সহকর্মী। আর আপনি মাথাগরম করে, মেজাজ হারিয়ে কাজের ক্ষতি করছেন। ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতাতেও। পাহাড়প্রমাণ চাপ জমছে মনের উপর। ফলে ক্ষতি হচ্ছে শরীরেরও।

Advertisement

মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলছেন, “একটানা পরিশ্রম করে যাওয়া আর বুদ্ধি করে কাজ করার মধ্যে পার্থক্য আছে। গায়েগতরে খেটে আপনি হয়তো ভাবলেন বিশাল কাজ করে ফেলেছেন, আর আপনারই কোনও সহকর্মী বুদ্ধি ও বিবেচনা দিয়ে কাজ করে সাফল্যের সিঁড়িতে আরও কয়েক কদম এগিয়ে যেতে পারে। তাই নিজেরই কিছু অভ্যাস ও দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনতে হবে। কাজ করতে হবে পরিকল্পনামাফিক। তবেই সাফল্য আসবে।”

সফল হওয়ার সহজ কিছু টোটকা

Advertisement

প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট’ খুব জরুরি। সহকর্মী ও বসের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন, তা-ও প্রভাব ফেলে কাজের উপর। যদি অনেকে মিলে কাজ হয়, তা হলে প্রত্যেকে নিজের নিজের অংশ নিয়ে আলোচনা করে নিন। কে কোন কাজ করবেন, কতটা করবেন এবং কখন তা শেষ করবেন, তার নির্দিষ্ট তালিকা থাকা জরুরি। প্রয়োজনে আপনি কী কী কাজ করছেন তা বিশদে লিখে বসকে পাঠিয়ে রাখুন। তা হলে তাঁর কাছেও ছবিটা পরিষ্কার থাকবে।

মেশিনের মতো কাজ করবেন না। প্রত্যেকেরই কর্মদক্ষতা ও কাজ করার ক্ষমতা আলাদা। আপনার জন্য যতটা বরাদ্দ, সেটাি মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করলে ভাল।

কাজের বিষয়ের বাইরেও পড়াশোনা করার অভ্যাস থাকলে সেটা যেমন মন ভাল রাখবে, মানসিক চাপ কমাবে, তেমনই কাজের মানও বাড়াবে। মনোবিদ শর্মিলা সরকারের পরামর্শ, কাজ সম্পর্কিত বিষয়েই ‘হোমওয়ার্ক’ করতে পারলে খুব ভাল হয়। যত বেশি পড়বেন ও জানবেন, ততই বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে মোবাইল বা গ্যাজেটে মত্ত না থেকে বরং নির্দিষ্ট সময় রাখুন পড়াশোনার জন্য। এতে লাভ হবে অনেক।

নিজে জীবনে কী করতে চান সেই বিষয়ে যদি স্বচ্ছ ধারণা থাকে, তবেই সাফল্য ধরা দেবে খুব তাড়াতাড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের পুরো দিনটা মনে মনে ছকে ফেলুন। সারা দিনে কী করতে চান, কোন কাজটা আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে তা মনে মনে ঠিক করে নিন। অফিসে কাজের পাহাড় জমে থাকলেও কোনটা কখন করবেন, কত সময় ধরে করবেন তার পরিকল্পনা আগেই সেরে রাখুন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরের জন্য ফেলে রাখবেন না।

কাজ শুরু করার আগেই সেই কাজের চাপ এবং কাজটি কখন শেষ হবে, এই ভেবে ভয় পায় মানুষ। ফলে শুরুতেই মনে বাসা বাঁধে অবসাদ। তাই কাজে মন বসানোর সবচেয়ে সহজ টোটকা হল যে কোনও কাজকেই সহজ বলে মনে করা। কেবলমাত্র টার্গেটের পিছনে না ছুটে ছোট ছোট কাজও মনোযোগ দিয়ে করা। হাতে যদি কোনও বড় প্রজেক্ট থাকে, তা হলে সেটিকে ছোট ছোট ভাগে ভেঙে নিন। কাজের সময় আপনার মনের মতো করে সাজিয়ে নিন। এ বার কাজটি শুরু করুন। এতে লাভ হবে অনেক বেশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement