২০৫০-এর মধ্যেই বায়ুদূষণের কোপে বাসের অযোগ্য হবে পৃথিবী বলে দাবি গবেষকদের। ছবি: শাটারস্টক।
বায়ুদূষণ ক্রমেই একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমাদের দেশে। পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, গাছপালা কেটে হাইরাইজ, যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি এই দূষণকে আরও সক্রিয় করে তোলে। বায়ু দূষণের ফলে মানুষের শ্বসনতন্ত্রে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। বঙ্কো-নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো ভয়াল রোগের অন্যতম কারণ এই বায়ুদূষণ। এমনকি, প্রতি বছর ভারতে প্রায় কুড়ি লক্ষ মানুষ স্রেফ বায়ুদূষণের কারণে মারা যান।
ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট একদল গবেষক এই বিষয়ে একটি গবেষণা চালান। তাঁদের মতে, ভারতে এই মুহূর্তে যে হারে বায়ুদূষণ ছড়াচ্ছে, তাতে এখনই সাবধান না হলে শিয়রে সমন। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যেই বায়ুদূষণের ফলে এই পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে না। ওজোন গ্যাসের পরিমাণও বাতাসে বৃদ্ধি পাবে হু হু করে।পৃথিবীর বুকে থাবা বসাবে ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণ। ভারতের মতো বহুল জনসংখ্যার দেশে এর প্রভাব পড়বে বেশি।
তবে তাঁদের মতে, যে সব দেশে বায়ুদূষণের প্রভাব মারাত্মক, সে সব দেশে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি মানুষের খাদ্যতালিকাতেও পরিবর্তন আনা উচিত। কী কী ধরনের খাবার আপনাকে বায়ুদূষণের হাত থেকে বাঁচাতে পারে, সে সম্পর্কেও জানান তাঁরা। দেখে নিন সে সব কী কী।
আরও পড়ুন: মেদ ঝরাতে চান? তা হলে আজ থেকেই ব্রেকফাস্টে রাখুন এ সব
মাত্র পাঁচ মিনিট সময় দিন ! ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরবে এ ভাবেই
ভিটামিন সি: ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আমাদের শরীরে রোগ-জীবাণুদের সঙ্গে লড়তে অত্যন্ত কার্যকর। যে কোনও টক ফল ও কাঁচা লঙ্কায় প্রচুর ভিটামিন সি আছে। তাই বায়ুদূষণজনিত অসুখ কমাতে এই খাবারগুলি বিশেষ উপকারি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: বায়ুদূষণের হাত থেকে হৃদযন্ত্রকে বাঁচাতে খাবারে যোগ করুন প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবার আমাদের রক্তে লিপিড নিয়ন্ত্রণ করে। কর্ড মাছের তেল, বাজরার আটা, সবুজ সব্জি, রাজমা ইত্যাদি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম।
ভিটামিন ই: বায়ুদূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি কোষ গঠনের দিকেও নজর দেওয়া উচিত বলে গবেষকদের অভিমত। ভিটামিন ই কোষ গঠনে বিশেষ সহায়ক। ব্রকোলি, আমন্ড, গাজর, জলপাইয়ের তেল ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে।