সন্তান সুস্থ থাকুক— সব অভিভাবকই চান। তাদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে মা-বাবার চিন্তারও শেষ নেই। কিন্তু অজান্তেই বড়দের কিছু কিছু অভ্যাসেই লুকিয়ে তাকে সন্তানের অসুস্থতার বীজ। নিজেদের কিছু স্বভাব বদলালেই সন্তানের ছোটখাটো অসুখ এড়ানো যেতে পারে সহজেই। দেখে নিন সে সব আর আজ থেকেই পাল্টে ফেলুন নিজেকে। ছবি: শাটারস্টক।
সন্তানকে সঙ্গ দেওয়া বলতে আপনি কি কেবল তাকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়াই বোঝেন? ঘন ঘন বাইরে ঘোরা ও খাওয়াদাওয়া সন্তানের শরীরকে অসুস্থ করে। তার চেয়ে বাইরে বেরনো কমিয়ে তার সঙ্গে বাড়িতেই কাটাতে পারেন নিজস্ব সময়। সন্তানের পছন্দসই রান্না বাড়িতেই করে চমকে দিতেই পারেন তাকে। এতে সে মানসিক আরামও পাবে। ছবি: শাটারস্টক।
সন্তান পেট ভরে খেলেও মায়েরা চিন্তায় থাকেন, হয়তো ঠিকঠাক পেট ভরল না! এই ধারণা থেকে অনেকেই শিশুকে বেশি করে খাওয়ান। চিকিৎসকরা এই বিষয়কে একেবারেই সমর্থন করেন না। বরং তাঁদের মতে, সঠিক পুষ্টি পেল কি না সেটাই আসল। সন্তানের শরীরের প্রয়োজন এক এক দিন এক এক রকম থাকে। সেই অনুযায়ী সে খাবার খায়। ছবি: শাটারস্টক।
দৌড়ঝাঁপ করে খেলা শরীরের জন্য ভাল। তাই কি তাকে বাইরে গিয়ে খেলতে জোর করেন? অনেক শিশুই তার বয়সোচিত সঙ্গী পায় না, কেউ বা খেলার চেয়ে বাড়িতে বসে কোনও পছন্দের কাজ করতে ভালবাসে। হতে পারে তা কোনও সৃজনশীল কাজ। সন্তানের যা পছন্দ হয়, তাকে সেটাই করতে দিন। জোর করা সন্তানের শরীর ও মনের জন্য ভাল নয়। ছবি: শাটারস্টক।
শিশু মানেই চকোলেট, কেক, পুডিং, মিষ্টির ছড়াছড়ি। আপনার শিশু এ সব খাওয়ার পর প্রতি বার ভাল করে মুখ ধোয়ান তো? চিকিৎসকদের মত মেনে তাকে প্রতি মাসে এক বার করে দাঁতের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান কি? দাঁত ভাল থাকলেও এই রুটিন চেক আপ কিন্তু খুব জরুরি। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
সন্তানের তেষ্টা পেয়েছে বুঝলেই তাকে দেন ঠান্ডা পানীয়ের বোতল! খুব সাবধান তা হলে। এই ধরনের পানীয় আপনাদের দু’জনের জন্যই অপকারী। এটি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত কেমিক্যাল, অ্যাডেড সুগার এ সব যে কারও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। ওবেসিটি থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়া— সবই সম্ভব বাজারচলতি ঠান্ডা পানীয় থেকে। ছবি: শাটারস্টক।
প্রতি দিনের তাড়াহুড়ো সামলাতে শিশুর ব্রেকফাস্টের দিকে নজর দিচ্ছেন তো? যা হোক স্ন্যাক্স বা কিনে আনা খাবার দিয়েই কি সে সকালে পেট ভরায়? তা হলে আজই সাবধান হোন। সকালের খাবার থেকে শিশু তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও স্বাস্থ্যগুণ পাচ্ছে কি না তা নজরে রাখুন। দরকারে অন্য কাজ কমিয়ে এ দিকে সময় দিন বেশি। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।