ভারী কিছু খাওয়ার পর অথবা নেহাতই ভালবেসে যখন-তখন ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। যদিও ঠান্ডা পানীয় খাওয়া নিয়ে চিকিৎসকদের আপত্তি নতুন নয়। শরীরের নানা ক্ষতি করে এই ঠান্ডা পানীয়। তবে শরীরের ক্ষতি করলেও সাংসারিক নানা কাজে এই পানীয় সহজেই ব্যবহার করা যায়। জানেন সে সব? ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
রান্না করতে গিয়ে কোনও ভাবে পুড়িয়ে ফেলেছেন কোনও পাত্র? চিন্তা নেই! স্রেফ একটা কালো কোল্ড ড্রিঙ্ক প্রয়োজন আপনার। কালো রঙের যে কোনও ঠান্ডা পানীয় ঢালুন পুড়ে যাওয়া পাত্রে। কিছু ক্ষণ রাখুন। তার পর মেজে ফেললেই উধাও পোড়া দাগ। ঠান্ডা পানীয়র অ্যাসিডিক উপাদান এই দাগ তুলতে সাহায্য করে। ছবি: শাটারস্টক।
ছবির মধ্যেই ধরা থাকে স্মৃতি। সেই স্মৃতির ছবিগুলিতে নস্টালজিক করে তুলতে, তাতে ‘ভিন্টেজ মোড’ বা অতীতের এফেক্ট আনতে ব্যবহার করুন ঠান্ডা পানীয়। এর জন্য একটি পাত্রে পানীয় রেখে তাতে ডুবিয়ে দিন নির্দিষ্ট ছবিকে। তার পর শুকিয়ে নিন সেই ছবি। এতে ছবিতে সেই এফেক্ট পাবেন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
কোনও ভাবে জামাকাপড়ে পেনের দাগ পড়ে গিয়েছে? কালি তোলার সহজ উপায় কোল্ড ড্রিঙ্ক। দাগ পড়ে যাওয়া জায়গায় ঠান্ডা পানীয় ঢেলে ঘষে নিয়ে ডিটারজেন্টে ডোবালেই দাগ উধাও হবে সহজে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বাড়িতেই বার্বিকিউ সস বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে দিতে চান ঘরোয়া অনুষ্ঠানে? বেশ তো, হাতের কাছে মজুত রাখুন কোল্ড ড্রিঙ্ক। এক ক্যান ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে দিন খানিকটা টম্যাটো কেচাপ ও টাডা। এতেই তৈরি আপনার বার্বিকিউ সস। ছবি: শাটারস্টক।
বাগান করার শখ থাকলে সার হিসাবে ব্যবহার করুন ঠান্ডা পানীয়কে। মাটির পিএইচ মাত্রা কমিয়ে গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই পানীয়। বিশেষ করে দানাশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
চুলের যত্নেও ব্যবহার করতে পারেন এই পানীয়। কোল্ড ড্রিঙ্কের ফসফরিক অ্যাসিড চুলের জট ছাড়াতে তো কাজে আসেই, সঙ্গে চুলের স্বাভাবিক ঢেউ খেলানো ভাবকে সুন্দর রাখে। এ ছাড়া চুলের ঢাল বাড়াতেও কাজে আসে। কন্ডিশনারের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান কোল্ড ড্রিঙ্ক। ছবি: শাটারস্টক।
বেসিন ও কমোড পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করুন এই পানীয়। খানিকটা পানীয় কমোডে ঢেলে ব্রাশ দিয়ে ঘষে জল ঢেলে দিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে কমোড বা বেসিন। ছবি: শাটারস্টক।