রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে কি না জানতে নজর রাখুন রোজনামচায়। ছবি: শাটারস্টক।
ডায়াবিটিস বা মধুমেহ শরীরে বাসা বাঁধলে কিছু বাড়তে সতর্কতা মেনে চলতে হয়। নিয়ম না মানলে এই ডায়াবিটিসের হাত ধরেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের ক্ষতি হয়। তাই ওষুধ বা ইনসুলিন, নিয়মিত শরীরচর্চা ও নিয়মকানুন মানার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হয়।
সাধারণত, ডায়াবিটিস দানা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। রক্তপরীক্ষা করিয়ে তা বুঝে নিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। যে কোনও ক্রনিক অসুখের ক্ষেত্রে যত আগে অসুখের উপস্থিতি টের পাবেন ততই ভাল।
‘হু’-এর মত অনুযায়ী সারা সাধারণত বয়স চল্লিশ পেরলে টাইপ-টু ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তবে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই রোগ ৩০ বছর বয়স থেকেই হতে পারে। ১০-১৪ বছর বয়সীরা টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিসের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: এক জায়গায় বসে কাজের জন্য সায়াটিকার ব্যথা? সারিয়ে তুলুন এ সব উপায়ে
এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতে, “রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তা বেড়ে যাওয়ার উপসর্গগুলোকেও প্রধান লক্ষণগুলি চেনা অত্যন্ত জরুরি। নইলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা অসম্ভব। সাধারত, শরীরের বেশ কিছু লক্ষণের প্রতি সজাগ থাকলেই এই অসুখ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়।’’
জানেন কি, কোন কোন উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন?
অতিরিক্ত জল তেষ্টায় জিভ শুকিয়ে আসে? এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে এই সমস্যা যে রাতের মধ্যেও বার বার ঘুম ভাঙে জলের প্রয়োজনে? শরীরে হঠাৎ এই সমস্যা দেখা দিলে ডায়াবিটিস হতে পারে। এই অসুখে শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নেয় কিডনি।ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। এই অসুখে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। সতর্ক হোন। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তিতে। ঘোলাটে দেখা বা কোনও লেখার লাইন ভুল দেখেন বা ভুল পড়ার সমস্যা তৈরি হলে সচেতন হতে হবে। রক্তের অতিরিক্ত শর্করা বার করে দেওয়ার জন্য শারীরিক প্রক্তিয়া কিডনিতে চাপ দেয়।ফলে অনেকের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। তখন ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। আর তখন কিডনি শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এতে শরীরে জলর ঘাটতি হতে থাকে, যার ফলে ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়।
আরও পড়ুন: যতই শক্ত হোক মাংস, এই সব উপায় মানলেই সুসিদ্ধ হবে
হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা ও সঙ্গে তা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আরও নানা কারণে এমনটা ঘটতেই পারে। তবে ডায়াবিটিস দানা বাঁধলেও এমনটা হয়। ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করেই কি ওজন হ্রাস পেয়েছে অনেকটা। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অত্যধিক ওজন বেড়েও যায়। তাই হঠাৎ ওজন হ্রাস পেলে বা বৃদ্ধি পেলে সতর্ক হোন। শরীরের কোনও অংশে ঘা শুকোতে দেরি হচ্ছে? তা হলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ দিন।