সামনেই কি আপনার কোনও প্রিয়জনের বিয়ে? খরচের চিন্তায় বাড়ির সক্কলের রাতের ঘুম ছুটেছে? চাইছেন অল্প বাজেটে মনপসন্দ বিয়ের অনুষ্ঠান, কিন্তু চড়া বাজারের আগুন চোখে এখন আপনার সেই স্বপ্নে বস্তা বস্তা বালি। আপনার ইচ্ছা যদি সাধের সঙ্গে সাধ্যের মেলবন্ধন হয়, আপনার সেই ইচ্ছার কথা মাথায় রেখে রইল চারটে মুশকিল আসান টিপস।
বিয়ের কার্ডটা নিজেরাই ডিজাইন করুন
শুনে কি কিছুটা অবাস্তব মনে হচ্ছে? মোটেও না। কার্ডের ডিজাইনটা একটু মাথা খাটিয়ে নিজেরাই করে ফেলুন না! একটু আধটু ফটোশপের কাজ এখন মোটামুটি সবাই জানে। খুব কিছু জটিল বা ঝকমকে কোনও ডিজাইনের দিকে ঝুঁকবেন না। মনের মতো রঙের ব্যবহার আর বেসিক ইনফরমেশনটুকুই যথেষ্ট। ডিজাইনটা নিজেরা করে ফেললে তারপর সংখ্যা অনুযায়ী প্রিন্ট করিয়ে নিন। খরচতো অনেকখানি কমবে বটেই, বিয়ের কার্ডও কিন্তু বেশ হঠকে হবে। নিমন্ত্রিতদের প্রশংসা পেতে বাধ্য।
কেনাকাটার সময় বিয়ে শব্দটা উচ্চারণ করবেন না
কেনাকাটা বিষয়টা তুলনামূলক সহজ হলেও, খরচটা সব থেকে বেশি এখানেই কিন্তু হয়। কেনাকাটার সময় সঙ্গে একগুচ্ছ লোকজন নেবেন না। তাঁদেরই সঙ্গে নিন যাঁদের আপনার বাজেট সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে। কিন্তু কোনও দিনই শপিং করতে গিয়ে বিয়ের কথা ভুলেও মুখে আনবেন না। এমন অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বিয়ের নাম শুনলেই চড়চড় করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বলেন। অতএব, সাধু আগে থেকেই সাবধান হোন।
এক গাদা নয়, এক অনুষ্ঠানেই বিয়ে সারুন
সত্যিই যদি বাজেট আপনার মাথা ব্যথা হয় তাহলে বিয়ে, বৌভাত, মেহেন্দি, সঙ্গীত হ্যানাতেনা এক গাদা অনুষ্ঠানে গুচ্ছ খরচ না করে চেষ্টা করুন এক দিনেই সব সারার। ওই এক দিনেই বাগদান, আশীর্বাদ, বিয়ে সব কিছুর পাট চুকিয়ে ফেলুন। খরচ, সময় দুই বাঁচবে।
এবং...‘লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট’
উপহার নয়, অনুরোধ করুন টাকা দিতে
কথাতেই বলে ‘‘পষ্ট কথায় কষ্ট নেই’’। লজ্জা না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বলুন উপহার আপনাদের লাগবে না। তার বদলে অর্থ সাহায্য অনেক কাজের। তাছাড়া বেশির ভাগ সময় বিয়েতে পাওয়া উপহারের ভাগ্যে ঘরের কোণ আর ধুলোবালির আস্তরণ লেখা থাকে। তার থেকে উপহার টাকার মোড়কে এলে সুবিধা অনেক। যদি সরাসরি টাকার কথা বলতে সংকোচটা থেকেই যায়, তাহলে তাঁদের কাউকে বলুন ফুলের দায়িত্ব নিতে বা কেটারিং খরচের কিছুটা অন্তত সামলাতে।
আরও পড়ুন- একই নম্বর ব্যবহার করে দু’টো ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করবেন কী ভাবে? জেনে নিন