নিজেদের যত্ন নিতে, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আমরা ডায়েট, জিম করা নিয়ে যতটা মাথা ঘামাই, ঘুমকে ঠিক ততটাই অবহেলা করি। অথচ আধুনিক বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ঘুমকেই দেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাল ঘুম যেন আমাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখে তেমনই এতে আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
যাঁদের অফিসে কাজের শিফট পরিবর্তিত হয় তাঁদের ঘুম নানা ভাবে বিঘ্নিত হয়। কারণ, ভাল ঘুম হওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক শর্তই হল ঘুমোতে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা।
কী ভাবে বুঝবেন আপনার যথেষ্ট ভাল ঘুম হচ্ছে কিনা? যদি বিছানায় শোওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন ও রাতে এক বারের বেশি ঘুম না ভাঙে তাহলে আপনার অভ্যাস ভাল ও স্বাস্থ্যকর ঘুম হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশলান স্লিপ ফাউন্ডেশন(এনএসএফ) প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, যতক্ষণ আপনি বিছানায় শুয়ে রয়েছেন তার ৮৫% সময় যদি টানা ঘুম হয় এবং মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে ২০ মিনিটের মধ্যে যদি আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন তাহলে ঘুম আপনার স্বাস্থ্যে ভাল প্রভাব ফেলবে।
ঘুম কম হলে কী কী সমস্যা হতে পারে? গবেষকরা জানাচ্ছেন, ঘুম কম হলে মেজাজ হারানো, অবসাদ, হার্টের সমস্যা, মোটা হয়ে যাওয়া, হঠাত্ দুর্বল হয়ে পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এনএসএফ-এর সাম্প্রতিক স্লিপ হেলথ ইনডেক্স বলছে, সারা বিশ্বের ২৭ শতাংশ মানুষের বিছানায় শোওয়ার পর ঘুম আসতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগে। আর তাই বাড়ছে স্লিপ ডিজঅর্ডারের সমস্যা।
কেন বর্তমান প্রজন্ম এত বেশি স্লিপ ডিজঅর্ডারের শিকার? মূলত অতিরিক্ত স্ট্রেস ও টেকনোলজি নির্ভরশীলতাই এর কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নিজেদের ঘুমের মান পরীক্ষা করতে টেকনোলজির সাহায্যই নিতে বলছেন তাঁরা। মার্কিন গবেষকরা তৈরি করেছেন স্লিপ টেকনোলজি ডিভাইস। ঘুমের সময় যদি এই গ্যাজেট পরে নেওয়া হয় বা খাটের পাশের টেবলে রাখা হয় তাহলে এই গ্যাজেটই বলে দেবে আপনি কতক্ষণ ঘুমোচ্ছেন, কতক্ষণ সময় গভীর ঘুম হচ্ছে, কতক্ষণ সময় হালকা ঘুম হচ্ছে, কত বার ঘুম ভাঙছে ও আবার ঘুমিয়ে পড়তে কতক্ষণ সময় লাগছে।
স্লিপ হেলথ জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনলাইন ডেটিং-এ মেনে চলুন এই নিয়মগুলি