প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
সকলের ত্বক একরকম নয়। তাই সব টোটকা সকলের জন্য এক ভাবে কাজ করবে না— এটাই স্বাভাবিক। তা-ও আমরা সে ফাঁদে পা দিয়ে ফেলি। কখনও নেটমাধ্যমের নেশায় কখনও বিজ্ঞাপনের উস্কানিতে আমরা এমন কিছু কিছু অভ্যাস তৈরি করে ফেলি, যাতে ত্বকের লাভ খুব একটা হয় না, উল্টে ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে! জেনে নিন কোনগুলো।
একটুখানিই যথেষ্ট
ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার, ফেশিয়াল অয়েল বা অন্য যে কোনও ধরনের জিনিসের বিজ্ঞাপনে একটা কথা খুব শোনা যান। আঙুলে ডগায় অল্প একটু নিলেই গোটা মুখের জন্য যথেষ্ট। সত্যিই কি তাই? সাধারণ ত্বকে যেখানে দু’ফোটা ফেশিয়াল অয়েলে হয়ে যাবে, খুব শুষ্ক ত্বকেও কি একই ভাবে কাজ করবে? মনে হয়ে না। নিজের প্রয়োজন মতো পরিমাণ ব্যবহার করুন।
মেকআপ ওয়াইপ ছাড়া চলবে না
মেকআপ মোছার জন্য অনেকেই বাজার থেকে অ্যালকোহল দেওয়া টিস্যু ওয়াইপ কেনেন। কিন্তু মোকআপ তোলার এটাই কি একমাত্র উপায়? নারকেল তেল দিয়েই কিন্তু কাজ হয়ে যাবে। অনেক সময় বেশি ভাল কাজ হবে। কারণ অ্যালকোহল অনেকের সহ্য হয় না। বরং ত্বকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। অ্যাকনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
যত দামি, তত ভাল
কোনও জিনিসের দাম বেশি বলেই সেটা মানে ভাল, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যে কোনও নতুন দ্রব্য কেনার সময় খেয়াল করুন সেটায় কি ধরনের উপকরণ রয়েছে। আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই হলে, যে কোনও দ্রব্যে যাতে এই ধরনের উপকরণ থাকবে, সেটাই আপনার পক্ষে কার্যকরী হতে পারে।
রূপ-নামচা মানলেই অ্যাকনের সমস্যা কমবে
সকাল-সন্ধ্যা ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং করলেই ত্বক হবে ঝকঝকে— এটা সবচেয়ে বড় মিথ্যে। উল্টোপাল্টা খাওয়া, মানসিক চাপ, পেটের সমস্যা বা হরমোনাল কোনও সমস্যা থাকলেও অ্যাকনে হতে পারে। সেগুলো দূর করতে খালি রূপচর্চা যথেষ্ট নয়।