যে কোনও প্রয়োজনে কাউকে আশেপাশে না পাওয়া গেলেও, ‘গুগল বাবা’ সদাই প্রস্তুত থাকেন আমাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে৷ ছবি: সংগৃহীত
গুগল এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ যে কোনও প্রয়োজনে কাউকে আশেপাশে না পাওয়া গেলেও, ‘গুগল বাবা’ সদাই প্রস্তুত থাকেন আমাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে৷ আমাদের এমন অনেক কিছু জানার থাকে যা নিয়ে হয়তো সমাজে প্রকাশ্যে খুব বেশি কথা হয় না। সে ক্ষেত্রেও গুগলের উপরেই ভরসা রাখতে হয়।
তবে সব বিষয়ে গুগলের উপর নির্ভর না করাই ভাল। এতে আপনিই ঝামেলায় পড়তে পারেন। জেনে নিন, কোন প্রশ্নের উত্তর গুগলের কাছে জানতে না চাওয়াই শ্রেয়।
১) ধরে নিন, আপনি যৌনতার বিষয়ে কোনও তথ্য গুগলের কাছে জানতে চেয়েছেন। আপনি মনে করলেন ‘সার্চ হিস্ট্রি’ মুছে ফেললেই বুঝি আর কেউ জানতে পারবে না আপনার আগ্রহের কথা। তবে প্রতিনিয়ত গুগল সেই বিষয় সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন আপনার কাছে পাঠাতে শুরু করবে। আর ফোনে এমন বি়জ্ঞাপন সারা ক্ষণ আসতে থাকলে সকলের সামনে আপনি অস্বস্তিতে পড়তে পারেন।
২) যদি গুগলে গর্ভপাতের পদ্ধতির বিষয়ে খোঁজ করেন তা হলে আইনি ফাঁসে পড়তে পারেন আপনি।ভারতে গর্ভপাত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধের মধ্যে পড়ে। এর অনুমতি শুধুমাত্র চিকিৎসকই দিতে পারেন। তাই এই ধরণের কোনও প্রশ্ন গুগলের কাছে করার আগে সাবধান হন।
প্রতীকী ছবি
৩) ত্বকে কোনও রকম সমস্যা দেখলেই আমরা গুগলের কাছে জানতে চাই সেই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়। গুগলও আপনার সামনে উপদেশের ডালি সাজিয়ে দেবে। অথচ আপনার ত্বক কী রকম, তার হদিশ গুগলের কাছে নেই। তাই সেই উপদেশ মেনে চলার পরিবর্তে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। তিনি আপনাকে সবচেয়ে ভাল সহায়তা করতে পারবেন।
৪) কোনও পণ্য ব্যবহার করার আগে অনেকেই গুগল করে দেখে নেন, দ্রব্যটি ভাল না খারাপ। গুগলে আপনি নানা মুনির নানা মত পাবেন। কেউ বলবে পণ্যটি দারুণ, কেউ আবার বলবে একেবারেই ভাল নয়। আপনি আবার বিব্রত হবেন। তাই গুগলকে না জিজ্ঞেস করে সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চাওয়াই ভাল।
৫) কোনও রোগের উপসর্গ লিখে গুগলে সার্চ করবেন না। এতে আপনার মনে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। শরীরে কোনও রোগের উপসর্গ দেখা দিলে নেটমাধ্যমে সময় অপচয় না করে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬) যদি আপনি গুগলে ‘শিশু পর্নোগ্রাফি’ জাতীয় কিছু খোঁজেন, তা হলে তা শিশু নিগ্রহ আইনের আওতায় পড়বে। এই প্রকার কিছু সার্চ করলে আপনার জেল অবধি হতে পারে।