সলমনের কেনা সবচেয়ে দামি জিনিস কোনটি? ছবি: সংগৃহীত।
তিন দশক ধরে বলিপাড়ায় রাজত্ব করে চলেছেন বলিউডের ভাইজান সলমন খান। ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যাইসি’ ছবিতে প্রথম বার অভিনেতা হিসাবে বড় পর্দায় দেখা যায় সলমনকে। ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে নায়ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তার পর একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন দর্শককে। বর্তমানে উপার্জনের শীর্ষে থাকা ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সলমনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪৭ মিলিয়ান ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৯০০ কোটি টাকা)। তবে অনুরাগীদের মনে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন জাগে, তাঁদের প্রিয় নায়কের সম্পত্তির তালিকায় সব চেয়ে দামি জিনিস কোনগুলি?
গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট: সলমনের সম্পত্তির কথা বললে সবার আগে বলতেই হয় তাঁর মুম্বইয়ের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট’-এর কথা। স্বপ্নের নায়ককে এক বার দেখার জন্য এই বা়ড়ির সামনেই ভিড় করে থাকেন সলমনের অনুরাগীরা। এই বিলাসবহুল বাড়ির মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
পানভেলের ফার্মহাউস: মাঝেমধ্যেই সলমন পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে চলে যান মুম্বইয়ের অদূরে পানভেলের খামারবাড়িতে। দেড়শো একর জমির উপর তৈরি এই খামারবাড়িটি অভিনেতার ছুটি কাটানোর ঠিকানা। জিম, সুইমিং পুল, খামার, সামনে বিশাল সবুজে ঘেরা জমি—খামারবাড়ির সৌন্দর্য মন কাড়ে সকলের। এই বিলাসবহুল খামারবাড়ির মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
গোড়াই বিচ হাউস: পানভেল ছাড়াও মুম্বইয়ের গোরাই সমুদ্রসৈকতের কাছে আরও একটি বাংলো রয়েছে অভিনেতার। পাঁচ-ছ’টি শোয়ার ঘর বিশিষ্ট এই বাংলোতে রয়েছে জিম, বিশালাকার সুইমিং পুল, থিয়েটার এবং আরও অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা। নিজের ৫১ বছরের জন্মদিনে এই বাংলোটি কিনেছিলেন সলমন। এখানে বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যান তিনি। এই বিলাসবহুল বাংলোর মূল্যও প্রায় ১০০ কোটি।
বর্তমানে উপার্জনের শীর্ষে থাকা ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে সলমন খান অন্যতম। ছবি: সংগৃহীত।
নিজস্ব ইয়ট: সমুদ্রের বুকে ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পার্টি করবেন বলে নিজের জন্য একটি ইয়ট কিনেছেন অভিনেতা। ২০১৬ সালে তিন কোটি টাকা মূল্য দিয়ে ইয়টটি কেনেন সলমন। সম্প্রতি এই ইয়টটি আবার নতুন করে সাজিয়েছেন তিনি।
গাড়ি: সলমানের গাড়ির সংগ্রহও নজরকাড়া। তাঁর গ্যারেজে রয়েছে ১৩ কোটির অডি এ৮ এল ওয়ার্থ, ১ কোটি ১৫ লক্ষের বিএমডাব্লু এক্স৬। এ ছাড়া তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার ভগ মডেলের গাড়ি।
ব্র্যান্ড বিইং হিউম্যান: অভিনেতা ২০১২ সালে ‘বিইং হিউম্যান’ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। পোশাক, গয়না এবং ঘড়ি পাওয়া যায় এই সংস্থায় । নিম্নবিত্ত পরিবারের বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে খরচ করে এই সংস্থা। এই সংস্থার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৩৫ কোটি টাকা।