কিছু মশলা, ভেষজ টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই পেটের যাবতীয় গোলমাল জব্দ হবে। ছবি: সংগৃহীত।
দুধ একেবারেই সহ্য হয় না। দুধ দেওয়া চা খেলেও পেটের গোলমাল হয়। তাই পেট ভাল রাখতে নিয়ম করে টক দই খান। শুধু গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যা নয়, টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ভাল হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, এই টক দই দোকান থেকে কিনে খাওয়ার চেয়ে বাড়িতে পাতাই ভাল। কিন্তু সেই দই খেয়েও যদি সারা দিন ধরে পেট গুড়গুড় করতে থাকে, তা হলে দই খাওয়াও ছেড়ে দেবেন? পুষ্টিবিদেরা সেই সমস্যার সুরাহা দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, হেঁশেলে থাকা সাধারণ কিছু মশলা, ভেষজ টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই পেটের যাবতীয় গোলমাল জব্দ হবে। সেগুলি কী কী?
১) জিরে
গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই জিরে ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, টক দইয়ের মধ্যে সামান্য জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারলে তার পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।
২) আদা
আদার মধ্যে রয়েছে জিঞ্জেরল। দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর অনেকেই পেটফাঁপার সমস্যায় ভোগেন। হজমের জন্য টক দই খাওয়ার পরেও অনেক সময়ে বমিভাব দেখা যায়। টক দইয়ের মধ্যে সামান্য আদা মিশিয়ে নিলেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
৩) মৌরি
মৌরির মধ্যে রয়েছে অ্যানিথোল। যা পেটের পেশির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, জিরের মতো মৌরিতেও রয়েছে কার্মিনেটিভ উপাদান। তাই টক দইয়ের মধ্যে সামান্য মৌরি গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিলেও কাজ হবে।
৪) পুদিনা পাতা
গলা-বুক-জ্বালা বা বদহজমে অব্যর্থ দাওয়াই হল পুদিনা পাতার রস। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা তো বটেই, পরিপাকতন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই ভেষজ। দইয়ের মধ্যে যে সামান্য পরিমাণ ফ্যাট থাকে, তা-ও অনেক সময়ে পেটের গোলমালের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই দইয়ের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে নিলে আর কোনও সমস্যা থাকে না।
৫) ধনেপাতা
জিরের মতোই ধনে গুঁড়ো বা ধনেপাতার মধ্যে এমন কিছু উৎসেচক রয়েছে, যা হজমে সাহায্যকারী উৎসেচকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। পেটফাঁপা, গ্যাস, পেট গুড়গুড় করার মতো উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই ভেষজ।
৬) গোলমরিচ
গোলমরিচে রয়েছে প্যাপেরিন নামক একটি উপাদান। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলা বা রোগ প্রতিরোধই নয়, পেটের যাবতীয় অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে এই মশলা।
৭) বিটনুন
টক দইয়ের মধ্যে বিটনুন দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তবে তা শুধু স্বাদের জন্যই নয়। আয়ুর্বেদ বলছে, পাকস্থলীর মধ্যে থাকা সব রকম উৎসেচকের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে বিটনুন।