ঘুম কম হলেই ইঙ্গিত দেবে শরীর। ছবি: সংগৃহীত।
অফিস, বাড়ি, ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব সব সামলে আলাদা করে নিজের জন্য সময় পাওয়া যায় না। নিজেকে সময় দেওয়া, নিজের যত্ন নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল পর্যাপ্ত ঘুমোনো। ঘুমের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ভালমন্দ। তাই সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু কাজের চাপে ঘুমই সবচেয়ে কম হয় অনেকের। তার উপর রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ় দেখার নেশা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সব মিলিয়ে ফিট থাকতে যত ক্ষণ ঘুমোনোর কথা, তার চেয়ে কম ঘুম হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই এমন চলতে থাকে। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল নন। ঘুমে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তার ইঙ্গিত দেয় শরীর। কী ভাবে বুঝবেন, পর্যাপ্ত ঘুমোনো প্রয়োজন?
অত্যধিক দু্র্বলতা
শারাীরিক পরিশ্রমে ক্লান্তি আসে, দুর্বল লাগে। তবে সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তা হলে বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা জরুরি। পরিশ্রমের কারণে দুর্বল লাগলে একটু বিশ্রাম নিলেও ফিট হয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু দুর্বলতা কোনও ভাবেই কাটতে না চাইলে বুঝতে হবে, ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
মনঃসংযোগের অভাব
মানসিক স্থিরতার অভাবে অনেক সময় মনঃসংযোগের অভাব ঘটে। তবে সেটাই একমাত্র কারণ না-ও হতে পারে। অনেক সময় ঘুম কম হলেও কাজে মন বসাতে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তেমনই কিছু হচ্ছে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে।
ঘন ঘন খিদে পাওয়া
খেতে বিশেষ ভালবাসেন না। তবু ঘন ঘন খিদে পাচ্ছে বলে খেতে হচ্ছে। বার বার খিদে পাওয়ার সমস্যাও কিন্তু কম ঘুমের কারণে হতে পারে। ঘুম কম হলে খিদের হরমোনের বেশি ক্ষরণ হয়। তাই সব সময় খিদে পায়।
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
ঘুম কম হলে যে কোনও রোগ তাড়াতাড়ি বাসা বাঁধে শরীরে। সর্দি-কাশি থেকে অন্য সংক্রমণে খুব দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে মূলত কম ঘুমের কারণে। তাই সুস্থ থাকতে প্রয়োজন মতো ঘুমোতে হবে।
বার বার কফি খাওয়া
দিনে একাধিক বার কফি খেয়ে থাকেন অনেকেই। এই অভ্যাসের কারণেও অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়। অত্যধিক মাত্রায় ক্যাফিন শরীরে গেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে কোনও কারণ ছাড়াই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ঘুমের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।