ডিহাইড্রেশন থেকে পোষ্যদের শরীরেও নানা রকম সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
পুরোপুরি শীত না পড়লেও বাতাসে ঠান্ডার আমেজ রয়েছে। ভোরের দিকে, রাতে পাশে রাখা কাঁথা জড়িয়ে নিলে বেশ আরামই লাগছে। শীত যে আসছে, তা বোঝা যায় জল খাওয়ার পরিমাণ এবং অনীহা দেখলে। আপনার সঙ্গে সঙ্গে আপনার বাড়িতে থাকা পোষ্যটিরও একই হাল। ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই জলের পাত্রের ধারে কাছে ঘেঁষছে না সে। দিনের বেশির ভাগ সময়ে শুয়ে, ঘুমিয়ে থাকছে বলে পোষ্যের শরীরে কোনও অসুবিধা হলেও টের পাচ্ছেন না। তবে পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে মানুষের মতো পোষ্যদেরও শরীরে জলের অভাব ঘটে। ডিহাইড্রেশন থেকে তাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তাদের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ গতিবিধি দেখলেই তা ধরে ফেলতে পারেন।
বাহ্যিক লক্ষণ
পোষ্যের শরীরের বাহ্যিক দিকে বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখলেই ধরে ফেলতে পারেন, পোষ্যের শরীরে জলের অভাব ঘটছে কি না। সাধারণত পোষ্যদের নাক, মুখের অংশ ভিজে থাকে। আদর করতে এলেই তা টের পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে, পোষ্যের ঠোঁট, মুখ খুব শুকিয়ে যাচ্ছে কি না। যদি এমনটা হয়, সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে সে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগছে। এ ছাড়া ঘোলাটে চোখ, পোষ্যের শরীরে অতিরিক্ত বলিরেখা দেখা দিলেও সতর্ক থাকতে হবে। তা ছাড়া তার মূত্রের রং গাঢ় এবং ঘন হয়ে গেলেও তা শরীরে জলের অভাবকেই বোঝায়।
অভ্যন্তরীণ লক্ষণ
প্রথমেই লক্ষ করুন, পোষ্য ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কি না। রোজ যে ভাবে সকলের আগে ঘুম থেকে ওঠে, লম্ফঝম্ফ করে— তেমনটা করছে কি না, তা খেয়াল করুন। যদি তা না করে থাকে, তা হলে বুঝতে হবে, তার শরীর মোটেই ভাল নেই। পোষ্যের শরীরে জলের অভাব ঘটছে কি না, তা ধরতে গেলে নজর রাখতে হবে তাদের খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বা পরিমাণের উপর।