—নিজস্ব চিত্র।
পুজো আসতে না আসতেই অন্দরের সাজসজ্জা শুরু। নতুন চাদর, পর্দায় ঘর সাজানোর সঙ্গে সঙ্গে সুরভিত করে তোলা যাক অন্দরমহল। পুজোর নিজস্ব একটা গন্ধ তো আছেই। তার সঙ্গে যোগ করতে পারেন নিজের পছন্দমতো সুগন্ধি।
চিরাচরিত ধূপ, ধুনোর গন্ধ তো আছেই। গুগ্গুল, কর্পূরের মিশ্রণে সুন্দর গন্ধ তৈরি হয়। এই সুগন্ধি ব্যবহারের অনেক ইতিবাচক দিকও রয়েছে। একে তো অন্দর ভরিয়ে তোলে সুগন্ধে। আর এই ধুনোর গন্ধে পোকামাকড়, মশাও থাকে দূরে। বাড়িতে একটু কর্পূর একটা বাটিতে রেখে সেন্টার বা কর্নার টেবলে রেখে দিলে তার গন্ধেও মশা দূরে থাকবে আর সুগন্ধে ভরে উঠবে অন্দর। আর এখন বাজারে নানা রকমের ইনসেন্স পট পাওয়া যায়, তা দিয়ে ঘর সাজানোর কাজও হবে সুন্দর। তিব্বতি ছাঁচের, সেরামিক, পিতল, কাঠ, শ্বেতপাথর দিয়ে তৈরি বিভিন্ন আকারের এই পট কিনে ঘর সাজাতে পারেন।
তবে এগুলো ব্যবহারের সময়ে খেয়াল রাখবেন, বাচ্চাদের হাতের কাছে যেন তা না থাকে। অনেক সময়েই এগুলোর ভিতরে ধূপ, ধুনো জ্বালানোর সময়ে তা গরম হয়ে যায়। ধাতব পাত্র হলে অনেকক্ষণ গরম থাকে, তাই সেই বিষয়ে সাবধান।
আবার ল্যাভেন্ডার, লেমনগ্রাস ক্যান্ডেলের মতো নানা রকমের সুগন্ধি মোমবাতিও পেয়ে যাবেন স্থানীয় বাজার বা অনলাইনে। এগুলো জ্বালিয়ে রাখলেও সুন্দর গন্ধ বেরোয়। ইউক্যালিপটাস, স্যান্ডেলউড, ক্লোভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। পপৌরির মধ্যে কয়েক ফোঁটা এই সুগন্ধি তেল দিয়ে রেখে দিন। বৈঠকখানা, শয়নকক্ষের পাশাপাশি স্নানঘরেও এই পপৌরি রাখতে পারেন।
তবে যে কোনও সুগন্ধি ব্যবহারের আগে দেখবেন, বাড়িতে কারও অ্যালার্জি আছে কিনা। অনেকেরই নানা রকম গন্ধে অ্যালার্জি থাকে। আবার কারও সর্দি-কাশির প্রবণতা থাকলে সুগন্ধীর ধোঁয়ায় সমস্যা হয়। তাই সব দিকে খেয়াল রেখে অন্দরের সুগন্ধি বেছে নিন।