প্রতীকী ছবি।
তাদের একটি বিশেষ মডেলে মাঝে মাঝেই বিস্ফোরণ হচ্ছিল। পরে সেই মডেলের সেটগুলি বাজার থেকে তুলে নেয় স্মার্টফোন প্রস্ততকারক সংস্থা স্যামসাং। এ বার গ্যালাক্সি নোট-৭ মডেলে কেন বিস্ফোরণ হচ্ছিল, তার কারণ জানাল ওই কোম্পানি।
সোমবার স্যামসাং-এর কর্ণধার ডিজে কোহ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে নোট-৭ মডেলে দু’টি ত্রুটি ধরা পড়েছে। প্রথমত, স্যামসাং এসডিআই-এর তৈরি ব্যাটারি আকারগত কারণে ফোনের ভিতরে ঠিকমতো খাপ খায়নি। আর তাই ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্য কারণটি হল, ব্যাটারির প্রস্তুতিগত সমস্যা।
আরও পড়ুন: ক্যালসিয়াম মুঠো মুঠো খেলে মাসুল হাড়ে হাড়ে, সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ মডেলে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছিল। তার জেরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যামপেরেক্স টেকনোলজিকে নতুন ব্যাটারি সরবরাহের নির্দেশ দেয় নোট-৭। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাটারি দিয়েই দ্বিতীয় ধাপে গ্যালাক্সি নোট ৭ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে নতুন ভাবে সরবরাহ করা মোবাইলগুলিতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর পরেই বিশ্ব বাজার থেকে এই সেটটি তুলে নেওয়া হয়। উৎপাদনও বন্ধ করে দেয় স্যামসাং। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে স্যামসাং-এর কয়েক দশকের সুনাম। গ্যালাক্সি নোট ৭-এ বিপত্তির কারণে প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে।
স্যামসাং-এর কর্ণধার আরও জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯৬ শতাংশ নোট ৭ ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও অনেক ব্যবহারকারী গ্যালাক্সি নোট ৭ ফোনটি ব্যবহার করছেন। গ্যালাক্সি নোট ৭ বিস্ফোরণের রহস্যভেদের জন্য তিনটি কোয়ালিটি কন্ট্রোল এবং সাপ্লাই চেইন বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হয়েছিল।